সৃষ্টির গোড়া থেকেই প্রেম-ভালোবাসা শব্দ দুটো জড়িয়ে আছে আমাদের জীবনের সঙ্গে। এই পৃথিবীর দীর্ঘপথ পরিক্রমা, তা-ও এই দুটো শব্দে ভর করেই। আদি মানব-মানবীর প্রেমেই আজকের এই বিপুলা পৃথিবী।
একটা সময় ছিল যখন প্রেম বলতেই ছিল অন্তঃপুরের বিষয়। কাউকে ভালোবাসি বলাটাও ছিল পাপ। ‘হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল’ মন দহনে দহনে অঙ্গার হতো। বুক ফাটলেও মুখ ফুটতো না। জীবন প্রদীপ নিভে গেলেও প্রেম ছিল নিঃশেষিত। প্রেমের জন্য এমন কত আত্মদানের নজির, সাহিত্যে অনুষঙ্গ।
ভালোবাসার মানুষের জন্য বেদনা আর রক্তের অক্ষরে লেখা হতো চিঠি। রাত জেগে। পরচোখের আড়ালে। হৃদয় নিংড়ানো শব্দ ঝাঁপি খুলতো সন্তর্পণে। তারপর সেই চিঠি কাঙ্ক্ষিত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ছিল আরেক দুঃসাহসিক অভিযাত্রা। এটা যে খুব বেশি আগের কথা তা নয়। দেড় দশক আগেও প্রণয় এতটা দুঃসাহসিক হতে উঠতে পারেনি। ভাঙতে পারেনি সামাজিকতার দেয়াল।
সহজ প্রেমের এই সুযোগ এনে দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি। বিজ্ঞানের কল্যাণে আরও অনেক কিছুর মতো এই সম্পর্কটাও হাতের কাছে এসেছে। মাধ্যম হয়েছে ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো, স্নাপচ্যাট, জি-প্লাস, ইনস্টাগ্রামসহ কতকিছু!
প্রতিদিনই যোগাযোগের এই মাধ্যমগুলো সহজ থেকে সহজতর হচ্ছে। নিত্যনতুন সুবিধাজুড়ে দেওয়া হচ্ছে ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে। ইন্টারনেট থাকলে তাই আর কিছুই প্রয়োজন হয় না। আপনি চাইলে যে কারো সঙ্গে, যেকোনো সময় কথা বলতে পারেন। পৌঁছে দিতে পারেন মনের কথা।
আজ ১৪ মে, অনলাইন রোমান্স ডে। অর্থাৎ অনলাইনে রোমান্স করার দিন। অনলাইন রোমান্স ডে উদ্যাপনের জন্য ব্যক্তিদের ডেটিং প্ল্যাটফর্মে প্রিয়জনকে ভার্চুয়াল কার্ড পাঠানো বা অনলাইনে প্রেম খোঁজার সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করতে উৎসাহিত করা হয়।
অনলাইন রোমান্স দিবসের ইতিহাসও রয়েছে। প্রেমের অনুসন্ধান ১৯৬৫ সালে প্রথম ডেটিং পরিষেবা ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করে। ১৯৯৫ সালে Match.com এর ভিত্তি স্থাপন করেছিল এবং অবশেষে অনলাইন ডেটিং প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পায়
Leave a Reply