মধ্যরাতে পুলিশের আইজি সাহেবের ফোন পেয়ে প্রথমে চমকেই গিয়েছিলেন সুন্দরী নারী কনস্টেবল! যদিও এবারই প্রথম নয়, পেশাগত কারণে এর আগেও ফোন পেয়ে এভাবে তাকে ছুটে যেতে হয়েছে অনেকবারই। কিন্তু এবার ফোনের ওপাশ থেকে কথাগুলো ছিল এরকম- ‘ঘর আ জাও, গাড়ি ভেজ দেতা হু’। যার বাংলা করলে দাঁড়ায়- ‘গাড়ি পাঠাচ্ছি, ঘরে চলে এসো’।
মাঝরাতে বড় কর্তার এমন আহ্বান শুনে নিজের কানকেও বিশ্বাস হচ্ছিল না ওই সুন্দরী নারী কনস্টেবলের। তবে আইজির কথার ইঙ্গিত বুঝতে সময় লাগেনি তার। যদিও চাকরিজীবনে এর আগে এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়নি তাকে।
এত রাতে ফোন করে ঘরে ডাকার দায়ে এক পর্যায়ে ভারতের ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর রেঞ্জের সেই আইজি পবন দেবের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন মুঙ্গেলি পুলিশ লাইনের ওই নারী কনস্টেবল।
বিলাসপুর থানায় দায়ের করা মামলার লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, মাঝরাতে আইজি যেভাবে বারবার ফোন করে বিরক্ত করছিলেন, তাতে তিনি ঘাবড়ে যান। ওই রাতে ফাঁকা বাড়িতে যাওয়ার জন্য আইজি নানাভাবে তাকে চাপ দিচ্ছিলেন। এমনকি তাকে অশ্লীল কথাবার্তাও বলছিলেন। তার শারীরিক সৌন্দর্যের প্রশংসা করে আইজি নাকি ওই রাতে তাকে বলেছিলেন, যদি সে বাসায় আসে তবে আইজির রেঞ্জ অফিসে তাকে বহালের ব্যবস্থা করে দেবেন। লিখিত অভিযোগের সঙ্গে আইজির ফোনালাপের অডিও টেও থানায় প্রমাণ হিসেবে জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী কনস্টেবল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৭ জুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বিলাসপুর সফরের দিনই ওই সুন্দরী নারী কনস্টেবলকে ডিউটির জন্য বিলাসপুরে যেতে হয়েছিল। সেখানেই আইজির সঙ্গে তার দেখা। অডিও টেপের ক্লিপিংস থেকে জানা যায়, ওই রাতে তিনি আইজির ফোন পান। অডিও রেকর্ডিংয়ে পরিষ্কার, অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন আইজি।
মামলা দায়েরের পরও থানা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না নেয়ায় সংবাদমাধ্যমের কাছে ঘটনার বিবরণ জানান ওই নারী কনস্টেবল। তিনি বলেন, তার সঙ্গে অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে সে দায় আইজির। তিনি তখন ডিজির সঙ্গেও দেখা করতে চান। তবে ওই সুন্দরী নারী কনস্টেবলের সব অভিযোগ তখন অস্বীকার করেছিলেন আইজি। তার দাবি ছিল, ওই নারী কলস্টেবলের যে পুরুষের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক ছিল তাকে বহিষ্কার করায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়।
Leave a Reply