ময়মনসিংহ ব্যুরো:ময়মনসিংহের তারাকান্দায় চিরকুট লিখে মিনারা আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
নিহত মিনারা আক্তার উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের নলদিগি গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেনীতে পড়ালেখা করতেন।
রবিবার (১৬ মে) দুপুরের দিকে মিনারা আক্তার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এর আগে ওই দিন সকালে মিনারা আক্তার বিষপান করেন।
সোমবার (১৭ মে) সকালে নিহত মিনারার ভাই রেজাউল বাদী হয়ে রনিকে আসামী করে তারাকান্দা থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার একটি মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের। তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, গতকাল রবিবার সকালে মিনারা আক্তার চিরকুট লিখে বিষপান করে। পরে মিনারার আত্মীয়রা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারা মারা যায়।
ওসি আরও বলেন, মৃত্যুর পর মিনারার হাতে লিখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ওই চিরকুটে তার মৃত্যুর জন্য রনি দায়ি ও রনি তুমি আমাকে স্ত্রীর মত ব্যবহার করেছো বলে লিখে গেছেন। রনি মিয়া একই উপজেলার গালাগাঁও ইউনিয়নের বালিজানা গ্রামের বাসিন্দা। রনির সাথে মিনারার প্রেমের সম্পর্ক্য ছিল বলে জানিয়েছেন মিনারার পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মিনারার ভাই রেজাউল জানায়, গত ১৫ মে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রেমিক রনি গোপনে প্রেমিকা মিনারার সাথে দেখা করতে এসে বাড়ির লোকজনের হাতে ধরা পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা মিনারাকে বিভিন্ন অপবাদ ও গালা-গালি করে রনিকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়।
এক পর্যায়ে মিনারা রনি মিয়ার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। পরে স্থানীয়রা আবারও মিনারাকে বুজিয়ে তার বাড়িতে পাঠায়।
রবিবার (১৬ মে) সকালে মিনারা আবারও রনির বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয় এবং সেখানেই বিষপান করে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
সেখান থেকে মিনারাকে অসুস্থ্য অবস্থায় তারাকান্দা-ধোবাউড়া সড়কের পাশে বালিজানা নয়াপড়া ব্রীজের নিচে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়র মিনারাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে মিনারা মারা যায়।
Leave a Reply