ওয়ান-ইলেভেনের কারণে আলোচিত সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ। চাকরি থেকে অবসরের পর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।সেখানে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসা করেই নিউইয়র্কে নিভৃতে জীবন যাপন করছেন, এই
সাবেক সেনাপ্রধান। করও সাথে তিনি খুব একটা সাক্ষাৎ করেন না। ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে ঘরোয়া অনুষ্ঠান ছাড়া কোথাও তিনি যান না। গতকাল শুক্রবার এরকম একটি ঘরোয়া বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন জেনারেল মঈন।ব্রুকলিনে অনুষ্ঠিত এই
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন বাঙ্গালি।তাদের একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা।জেনারেল মঈনের সঙ্গে তার জানাশোনাও দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশ এবং নানা প্রসঙ্গে মঈনকে পেয়েই আলাপ জুড়ে দেন
ঐ আওয়ামী লীগ নেতা। আলাপে আল জাজিরার ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ প্রসঙ্গটিতে আসে।জেনারেল মঈন আওয়ামী লীগের ঐ নেতাকে বলেন, অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে চাই না, কিন্তু আর্মি পারচেজ নিয়ে যেটা বলা হয়েছে,
সেটি অবান্তর এবং হাস্যকর।জেনারেল মঈন বলেন ‘আর্মি পারচেজ এমন ভাবে হয় যে এখানে সেনা প্রধান একা কিছুই করতে পারেন না।ইমপসিবল! এগুলো অজ্ঞতা প্রসূত।’ আওয়ামী লীগের ঐ নেতাকে জেনারেল মঈন বলেন,বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী এখন গ্লোবাল অ্যাসেট। পিস কিপিং ফোর্সে বাংলাদেশ লিড দিচ্ছে। আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, দেশ সবার আগে।এই ধরণের দায়িত্বহীন কথা বার্তা সেনাবাহিনী সম্পর্কে দেশ বিদেশে ভুল বার্তা দেয়। জেনারেল
মঈন বলেন, আমাদের কারোরই এমন কোন কাজ করা উচিৎ নয়, যাতে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কারণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।জেনারেল মঈন বলেন, ‘আমি যখন চীফ ছিলাম তখন একটি কথা আমি বার
বার বলেছি, আর্মি চীফ কোন ব্যক্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান।’ জেনারেল মঈন বলেন, আর্মিতে কেনাকাটা হয় অনেকগুলো ধাপে।একটা পলিসির আন্ডারে। এখানে দুর্নীতি করা অসম্ভব। যারা বাইরে থেকে এসব বলে তারা আসলে কিছুই জানে না।’ জেনারেল মঈন বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও এরকম কিছু আজগুবি খবর দিয়ে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল।’
Leave a Reply