ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচেহ শহরে বেশ কয়েক বছর আগে ভয়াবহ সুনামি আঘাত হেনেছিল। যে সুনামির প্রভাব পড়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সুনামির তাণ্ডবে সেখানে কেবল বেশ কিছু মসজিদ অক্ষত অবস্থায় ছিল।
মসজিদগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন ওই সময় প্রাণে বেঁচে যায়। এ কারণে পরবর্তী সময়ে বেড়ে যায় তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস।
স্থপতিরা বলছেন, সেখানকার অন্য ভবনগুলোর তুলনায় মসজিদগুলো শক্তপোক্ত করে নির্মাণ করা। অন্য ভবনগুলো নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করার কারণে সুনামিতে ধ্বংস হয়ে গেছে।
তবে সুনামিতে বেঁচে যাওয়া বহু মানুষের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় মসজিদগুলো রক্ষা পেয়েছে। সুনামির সময় বাইতুর রহমান গ্রান্ড মসজিদে আশ্রয় নেওয়া আহমেদ জুনাইদি বলেন, ওই সময় রক্ষা পাওয়ার কারণ হলো, এটা আল্লাহর ঘর। যিনি নিজেই সুনামি তৈরি করেছেন। তা থেকে তিনিই রক্ষা করেছেন।
জানা গেছে, ১৮৮১ সালে ডাচ উপনিবেশকারীরা ওই মসজিদ নির্মাণ করেছেন। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভয়াবহ সুনামিতে দুই লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। তবে শহরটির মসজিদগুলো ওই ঘটনায় টিকে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ শহরে বেশিরভাগ মানুষই মুসলমান। আল্লাহর প্রতি ভয় উঠে যাওয়ার কারণে ভয়াবহ ওই দুর্যোগ নেমে এসেছিল বলেও বিশ্বাস করেন অনেকে।
শাইখ কুয়ালা ইউনিভার্সিটির স্থপতি মির্জা ইরওয়ানশাহ বলেন, সুনামির সময় অন্তত ২৭টি মসজিদ অক্ষত ছিল। সুনামির পর সেই মসজিদগুলোর ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছিল। আসলে ওই মসজিদগুলোর নির্মাণ ছিল কাঠামো মেনে এবং উন্নত সামগ্রী ব্যবহার করে। ইউরোপিয়ানরা মসজিদগুলো নির্মাণ করেছিল বহু বছর টিকে থাকার মতো করেই।
অন্যদিকে রেজা নাসিমি সুনামি দেখেছেন চোখের সামনে। তিনি বলেন, বহু মানুষের দেহ ভেসে যেতে দেখেছিলাম মসজিদের ছাদে দাঁড়িয়ে। আমি দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি। আমি সত্যিই ভাগ্যবান। জীবনে ভালো কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করি ওই সময়ের পর থেকে।
সূত্র : দ্য ন্যাশনাল
Leave a Reply