ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দকে প্রত্যাহার ও কনস্টেবল এমদাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক আদেশে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমানকে পুলিশ লাইনন্সে সংযুক্ত ও কনস্টেবল এমদাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) আহমার উজ্জামান বলেন, অনিয়মের অভিযোগে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যাহার ও কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের কাকনহাটি গ্রামের আসাদুজ্জামান লুলু পৈতৃক জমিতে পুকুর খনন করে মাছচাষ, ফলদ বাগান ও পানের বরজ করেন। প্রতিবেশী নয়ন মিয়ার সঙ্গে লুলুর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরেই। বিরোধের জেরে লুলুর বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলার পরিকল্পনা করেন নয়ন মিয়া।
বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলার পরিকল্পনার বিষয়টি জানতে পেরে আসাদুজ্জামান লুলু গত ২১ অক্টোবর এর প্রতিকার চেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন ২২ অক্টোবর নয়নসহ তার লোকজন তাণ্ডব চালিয়ে লুলুর বাড়ি, বাগানের গাছপালা, পানের বরজ ভাঙচুর ও বাড়ির টিউবওয়েলটি খুলে নিয়ে যায় এবং জমিতে টিনের বেড়া দেয়। এ সময় লুলুর ভাই আবু রায়হান রুমেল বাঁধা দিলে তাকে মারধর করে হামলাকারীরা।
এ ঘটনায় আসাদুজ্জামান লুলু থানায় মামলা করতে গিয়ে হামলার বিষয়টি ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমানকে জানালে তিনি ২০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা ছাড়া কাজ হবে না বলে ১৭ হাজার টাকা ঘুষ নেন ওসি। কনস্টেবল এমদাদও লুলুর থেকে ১৫০০ টাকা ঘুষ নেন।
ঘুষ নেওয়ার ঘটনায় ২৫ অক্টোবর আসাদুজ্জামান লুলু ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল সাখের হোসেন সিদ্দিকীকে দায়িত্ব দেন। তদন্তে ঘটনাটির সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদন দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেন।
Leave a Reply