আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। সম্প্রতি তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন গান গেয়ে। নেটিজেনরা কখনো তির্যক মন্তব্যে বিদ্ধ করেছেন তাঁকে, কখনো বা একহাত নিয়েছেন। আবার মামলাও খেয়েছেন, তাতে তাঁর কোনো কিছু যায় আসে না। তিনি ‘নিজের মতো চলো’ নীতিতে অটল। প্রথম গান গেয়ে সমালোচনার বন্যাকে উপেক্ষা করে একে একে ১০টি গান গেয়ে ফেলেছেন। এবার জানালেন নিজের ইচ্ছার কথা। হিরো আলম জানালেন, এবার থেকে তিনি কনসার্টে গান গাইতে চান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হিরো আলম বলেন, ‘আমাকে নিয়ে কে কী বলল, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। আমার যখন পেটে ভাত ছিল না, তখন কেউ এগিয়ে আসেনি। এখন কেন আমি সমালোচনা শুনব? আমার যা মন চাইবে আমি করব। মানুষ যখন আমাকে গ্রহণ করবে না তখন গাইব না। আমি শখের বসে গান গেয়েছি সেটা লাখ লাখ মানুষ দেখেছে, তাহলে কী আমি করব বলেন? মানুষ শুনতে চায়, তাহলে আমি কি চুপ করে থাকব?’
আশরাফুল আলম বলেন, ‘মানুষ শুনতে চায় বলেই আমি পরপর ১০টা গান করেছি। আমি ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কনসার্টে গিয়ে অন্যের গানে নেচেছি। মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে আমাকে দেখতে এসেছে। ভিড় করেছে। মানুষ মজা পায়। আমি মজা দিই। শুধু বিনোদনের জন্য আমি এটা করি। এ জন্য কত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়েছে।’
আলম বলেন, আমি তো এত বোকা না যে মানুষের কথা শুনে আত্মহত্যা করব। আমাকে অনেকবার প্ররোচিত করা হয়েছে, আমি সেটা মাথায় নিইনি। কঙ্গনা রানাউত বলেছেন, আমি তার ভিডিও দেখেছি, শুনেছি। মিডিয়ায় হিংসা করে সুশান্ত সিংয়ের মাথায় আত্মহত্যার চিন্তা ঢোকানো হয়েছে। কঙ্গনার মাথায়ও ঢোকানো হয়েছিল। মিডিয়ার মানুষ এসব করেই। আমি মাথায় নেই না এসব।
গান প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, নিজের শখের বসে গান করেছি। এখন স্টেজ প্রগ্রামে গান করব। দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব কনসার্টে যাই। সেসব জায়গায় আমি মানুষের গানে নাচ করতাম এখন আমি নিজেই গান গাইব। মানুষ যদি না চায় তাহলে আমি গান করব না। একটা কথা আমি বলতে চাই, মানুষ যা চায় আমি তা-ই করি। মানুষ পছন্দ করে বলেই আমি করি, না পছন্দ করলে করতাম না।
আশরাফুল আলম ২০১৬ সালে ফেসবুক গ্রুপগুলোতে ট্রোলড হচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি বগুড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল এরুলিয়া থেকে গণমাধ্যমে প্রথমবার জায়গা পান। হিরো আলম সম্পর্কে অবাক করা তথ্য গোগ্রাসে গিলতে শুরু করে নেটিজেনরা। আগ্রহ দেখায় শোবিজের মানুষরা। এমনকি চলচ্চিত্রেও নেওয়া হয় হিরো আলমকে। পরে নিজের টাকা খরচ করে চলচ্চিত্র বানান হিরো আলম।
Leave a Reply