কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
সম্মেলনের ২০ মাস পরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন জেলা আওয়ামীগ। নবগঠিত কমিটিতে বাদ পড়েছে দীর্ঘদিনের পরীক্ষীত ও ত্যাগী নেতা কর্মীরা। আর ইন হয়েছে বেশ কিছু নতুন মুখ। যাদের দলের দুঃসময়ে দেখা না গেলেও দল ক্ষমতায় আসার পর রাজনীতির মাঠে সরব হতে দেখা গেছে।
এর আগে ২৭ নভেম্বর ২০১৯ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় শেখ কামাল কমপ্লেক্স অডিটরিয়ামে কমিটি গঠন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় রাজনীতি। এসময় সম্মেলন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও পটুয়াখালী-১ আসনে সংসদ সদস্য এ্যাড. আলহাজ্ব শাহজাহান মিয়া ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন। এছাড়াও জেলা আওয়ামীগের নেতৃবৃন্দ এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এরপর প্রায় দু’বছর পরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান এ নতুন কমিটি অনুমোদন দেয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মাহাবুবুর রহমানকে সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদারকে সাধারন সম্পাদক করে শনিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা আওয়ামীলীগ।
এদিকে দলের দুঃসময়ে হামলা,নির্যাতনের শিকার হওয়া দলের ত্যাগী নেতা কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা, লতাচাপলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা: সিদ্দিকুর রহমান বিশ^াস, মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৪৩ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী আব্দুল ছালাম আকন’র জায়গা হয়নি কমিটিতে। মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক আকন, সম্পাদক মো.নুরুল ইসলাম হাওলাদার ও ধূলাসার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল মাষ্টারের পদ মেলেনি নতুন কমিটিতে। এছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর মো.হুমায়ুন কবির সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান বুলেট’র নাম নেই নতুন কমিটিতে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিত নেতা আঃ বারেক মোল্লা বলেন, আমি মানতে পারছিনা আমার নাম কমিটিতে নাই। মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি অব্দুল ছালাম আকন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,’দল করার অপরাধে জাতীয় পার্টি,জামাত-বিএনপি আমার হাত পিটিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিল। বহু মামলা, হামলার শিকার হয়েছি। দল যার পুরস্কার দিয়েছে এতদিন পর। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর মো.হুমায়ুন কবির বলেন, কলাপাড়া থেকে আমার নাম গিয়েছিল, জেলায় তদ্বিরের অভাবে বাদ পড়েছে। তবে নতুন যাদের নাম এসেছে তাদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডও দেখা উচিৎ ছিল বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের নব নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, যারা বাদ পড়েছে তাদের নাম উপজেলা কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করে জেলায় অনুমোদনের জন্য প্রেরন করা হয়েছিল।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা থেকে যে তালিকা প্রেরন করা হয়েছে তাই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply