লালমনিরহাট প্রতিনিধি:লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুধীর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তা দখল করে বসত বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সরকারী রাস্তায় বসতবাড়ি নির্মানের বাধাঁ দেয়ায় উপজেয়লার দলগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীখাতা এলাকার দেবেন্দ্র নাথ ও তার পুত্রদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সুধীর চন্দ্র রায়ের লোকজন।
সুধীর চন্দ্র রায় ওই এলসকার মৃত যাত্রা মোহন রায়ের পুত্র। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
সরেজমিনে গেলে ওই এলাকার দেবেন্দ্র নাথ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুধীর চন্দ্র রায় সরকারী রেকর্ডভুক্ত রাস্তা দখল করে বসত বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ওই রাস্তাটি এখন আরেকজনের ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তিনি আমার এবং আমার সন্তানদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ইতিমধ্যে পুলিশ একজনকে গ্রেফতারও করেছেন। দেবেন্দ্র নাথের অভিযোগ, ক্ষমতা ও টাকার প্রভাব খাটিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সুধীর চন্দ্র রায় তার পরিবারের বিরুদ্ধে যড়ষন্ত্র মুলক নানা অভিযোগ দায়েরসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করেছেন। সরকারী রাস্তা উদ্ধারসহ হুমকি প্রদানের ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে তার ছেলে নিরঞ্জন বর্মাগত ২৭ ও ২৯ এপ্রিল স্থানীয় থানায় দুইটি সাধারণ ডাইরী করেছেন।
তবে দেবেন্দ্র নাথের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা সুধীর চন্দ্র রায় বলেন, ভুল বশত সরকারী রাস্তা বসত বাড়ির উপর দিয়ে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। তারপরও আমরা বাড়ির পাশে আমাদের জমি দিয়ে রাস্তা বের করে দিয়েছি। কিন্তু সেই জমি নিজের বলে মিথ্যা দাবী করে আসছেন দেবেন্দ্র নাথ ও তার পুত্ররা। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হলেও দেবেন্দ্র নাথ ও তার পুত্ররা ওই সালিশের সিদ্ধান্ত মানেন না।
দলগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবিন্দ্র নাথ বর্মণের সাথে এ নিয়ে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু সাজ্জাদ হোসেন জানান,এ ঘটনায় আদালতে মামলা ও থানায় সাধারণ ডাইরী হয়েছে। তদন্ত চলছে পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে মিমাংশার চেষ্টাও চলছে বলেও শুনেছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, ওই এলাকায় রাস্তা নিয়ে একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমি সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করতে বলেছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply