ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলার বাদী শুভ্র’র ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার (৮ মে) বিকেল ৪ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি দ্রæত বিচার ট্রাইব্রুনালে নেয়ার জোর দাবি জানান।
লিখিত সংবাদ সমম্মেলনে আবিদুর রহমান প্রান্ত বলেন, আদালতে শুভ্র হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিলের পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে গৌরীপুর পৌর শহরে কালিপুর মধ্যম তরফ এলাকায় তাকেসহ মামলার সাক্ষীদের হত্যার চেষ্টায় তাদের ওপর হামলা হয়। শুভ্র হত্যা মামলার অন্যতম আসামী পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বাহিনীর প্রধান মিথুন ও তমাল পাঠান এ সশস্ত্র হামলার নেতৃত্ব দেয়। হামলায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও তার সঙ্গীয় ৫ জনকে জখম করে আহত করে হামলাকারীরা। এসময় ৪টি মটর সাইকেল ভাংচুর করে।
তিনি বলেন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে রফিক এবং তার বাহিনীর লোকজন মামলাটিকে ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য নানা হুমকী ও নির্যাতনের পাশাপাশি নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। এতে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই এ মামলার সকল আসামীদের গ্রেপ্তারপূর্বক মামলাটি দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তির জোর দাবি করেন তিনি।
সুষ্ঠ ও নিরপক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আদালতে চার্জশিট দাখিল করায় পুলিশের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকতাদের প্রতি সংবাদ সম্মেলনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন আবিদুর রহমান প্রান্ত।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত শুভ্র’র চাচা সাদেকুর রহমান সেলিম বলেন, নিহত মাসুদুর রহমান শুভ্র উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব সফলভাবে পালনের পাশাপাশি ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করে আসছিল। স্থানীয় ভোটারদের কাছে শুভ্র’র গ্রহনযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে গত বছর ১৭ অক্টোবর গৌরীপুর মধ্যবাজার এলাকায় তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ম. নুরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ সানাউল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য হত্যা মামলার বাদীর ওপর হামলার ঘটনায় পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১২ জনের নামে আবিদুর রহমান প্রাপ্ত বাদী হয়ে শুক্রবার বিকেলে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গৌরীপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, হত্যা মামলার বাদীর ওপর হামলার মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply