ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলা সেচ্চাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যার ঘটনায় খাইরুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত খাইরুল ইসলাম উপজেলার কাউরাট গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ।
এর আগে গতকাল শুক্রবার ( ২৩ অক্টোবর) নেত্রকোনার মোজনগঞ্জ হাওর এলাকা থেকে খাইরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট মাহবুবা আক্তার ৪ নং আমলী আদালতে ১৬৪ জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন খাইরুল। জবাবন্দির পর আদালতের নির্দেশে খাইরুলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত ১৭ আগস্ট ( শনিবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৌরীপুর উপজেলা সদরের পান মহালে চায়ের দোকানে মাসুদুর রহমান শুভ্র সহযোগীদের নিয়ে চা খাচ্ছিলেন।
এ সময় গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদের নেতৃত্বে দুইটি সিএনজি দিয়ে ৮-১০ জন সন্ত্রাসী এসে তার উপর হামলা চালায়।
এ সময় শুভ্র ও তার দুই সহযোগীদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাসুদুর রহমান শুভ্রকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে ১৮ অক্টোবর ভোররাতে জেলার তারাকান্দার গাছা এলাকা থেকে চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ ও জাহাঙ্গীর আলম, রাসেল, মজিবুর নামে তিনজনকে মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এটনায় সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে নিহতের ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত বাদী হয়ে চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদকে প্রধান আসামি ও হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসাবে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করার পর ওই চারজনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
হামিমুর রহমান
ময়মনসিংহ।
Leave a Reply