ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর (২২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গৌরীপুর থানায় মামলা হয়েছে।
পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে সোমবার (১৬ জুন) এ মামলা করেন নিহতের বাবা খাইয়ুম মিয়া (কাইয়ুম)।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ সোনাকান্দি গ্রামের মজিবুর রহমানের পুত্র মো. সোহাগ মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম। তিনি জানান, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতাও নেওয়া হয়েছে।
সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন রতন জানান, গত শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হুমায়ুন কবির হুমায়ুন ও সোহাগ মিয়া বাড়ি থেকে পাছার বাজারে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে রানা ও বাদল ওর পথরোধ করে। এ সময় হুমায়ুন দৌড়ে তারা মিয়ার চায়ের দোকানে গেলে ছুরিকাঘাত করে। তাকে গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সোনাকান্দি গ্রামের মো. আব্দুল কদ্দুছের পুত্র মো. বাদল মিয়া ওরফে তোতা মিয়াকে (২১) প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া একই গ্রামের মো. শামছুর হকের পুত্র মো. রাশিদুল ইসলাম রানা ওরফে রাসুসহ (২২) ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোনাকান্দি গ্রামের সোহাগ মিয়া জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টায় সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আবুল কাসেমের দোকানে পানের ১০ টাকা বিল নিয়ে রানা ও বাদলের সাথে ঝগড়া হয়। এ সময় হুমায়ুন সেই ঝগড়া মিটিয়ে ১০ টাকা পরিশোধ করে দিয়ে আসে। এতে ওরা হুমায়ুনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
অপর একটি সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে হুমায়ুন কবীর সোচ্চার ছিল। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করত। সেই ঘটনার জের ধরেই মূলত তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার হুমায়ুনের জানাজায় হাজারও মানুষের সমাগম ঘটে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ, সদস্য সচিব হাফেজ আজিজুল হক, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেল।
অপরদিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে রোববার বিক্ষোভ মিছিল বের করে। উপজেলা ছাত্রদলও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে।
সুত্র-যুগান্তর
Leave a Reply