ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ঘরের আড়া থেকে রাশিদা (১৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে গৌরীপুর থানার পুলিশ। রবিবার বেলা ১১ টায় এ উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নে মামুননগর এলাকার অটোরিকশা চালক হৃদয়ের (২০) ঘর থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী হৃদয় পলাতক রয়েছেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ রাশিদাকে হত্যার পর মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখে তার স্বামী।
প্রতিবেশী মর্জিনা আক্তার জানান, হৃদয় ও রাশিদার বিয়ে হয় প্রায় ৬ মাস আগে। শনিবার রাতে তারা দু’জন এক সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। সকালে ঘরের আড়ার সঙ্গে রাশিদার মরদেহ ঝুলতে দেখতে পান বাড়ির লোকজন।
রাশিদার মা ফাতেমা জানান, হৃদয়ের সঙ্গে প্রায় ৬ মাস পূর্বে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রাশিদাকে মারধরসহ প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে আসছিল হৃদয়। ঘটনার চার দিন আগে তাকে মোবাইলে কল করে রাশিদা জানায় তার ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। এসময় তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আকুতি জানায়।
তিনি দাবি করেন, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ঘরের আড়ায় মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে হৃদয়।
গৌরীপুর থানার এস আই জামাল হোসেন জানান, ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাচানো মাটিতে পা লাগানো অবস্থায় রাশিদার মহদেহ উদ্ধার করা হয়। এ মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে হৃদয় পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত করে বলা যাবে, এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
Leave a Reply