নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের উত্তর জাহাজমারা গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া পাঁচ টুকরো লাশের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় লাশের খণ্ডিত নারীর সন্তান হুমায়ুন কবির সহ তার ৬ সহযোগী মিলে তাকে হত্যা করে খণ্ডিত টুকরোগুলো ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। পরে এ ঘটনায় মৃত নুর জাহান বেগম এর ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামি করে ৭ই অক্টোবর রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার সূত্র ধরে নোয়াখালী জেলা পুলিশ এর তদন্তে ঘটনায় সাথে সন্তানের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। একইসঙ্গে তার সাথে তার ৬ সহযোগী মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। তিনি বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ৭ আসামির মধ্যে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি ২ জনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।আটককৃতদের মধ্যে নীরব ও নূর ইসলাম কসাই আদালতে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তির জবানবন্দি দিয়েছে। হুমায়ুন কবিরের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, তার সৎ ভাই বেলাল প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ঋণ রেখে মারা যায়। ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য পাওনাদাররা হুমায়ুন কবিরকে চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে হুমায়ুন কবির তার মায়ের নামের সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণের টাকা পরিশোধের প্রস্তাব দেয়। তার মা ওই ঋণের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মা ও ছেলের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সে তার ৬ সহযোগীসহ মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তার মাকে হত্যা করে। পরে মায়ের শরীর ৫ টুকরা করে জাহাজমারা গ্রামের একটি ধানক্ষেতে বিচ্ছিন্নভাবে ফেলে রাখে। উল্লেখ্য, গত ৭ই অক্টোবর উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের উত্তর জাহাজমারা গ্রামের প্রভিডা ফিড এর পিছনে একটি ধান ক্ষেত থেকে বিকাল ৫ টায় হুমায়ুন কবির এর মা নূর জাহান বেগম এর শরীরের মাথা ও কোমরের ২ টুকরো অংশ উদ্ধার করে চর জব্বর থানা পুলিশ। পরদিন ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে খণ্ডিত গলা থেকে বুকের অংশ ও দু’টি পা সহ তিনটি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
Leave a Reply