কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: ঘূর্র্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্র্ণিমার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে কুয়াকাটা সৈকত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্বদিকে কাউয়ার চর পর্যন্ত সৈকতের সংরক্ষিত বনের সর্বত্র এখন ধ্বংসের ছাপ পড়ে আছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটকদের বিনোদন কেন্দ্র কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান। সৈকতে থাকা ঝাউবন, নারিকেল কুঞ্জ, তালবাগান, শালবনসহ শুটঁকি পল্লী তছনছ হয়ে গেছে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য পর্যটকদের জন্য সেজে থাকা পুরো সৈকত যেন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের সাগরের বিক্ষুদ্ধ ঢেউয়ের তান্ডবে ক্ষতবিক্ষত সৈকত রক্ষার কয়েকটি বালু ভর্তি জিও টিউব ফেটে বালু বের হয়ে গেছে। পাবলিক টয়লেটের অধিকাংশ ভেঙ্গে গেছে। সৈকতের থাকা কয়েক’শ ছোট দোকান ভেঙ্গে চুরমার হয়ে ভেসে গেছে সমুদ্রে। এছাড়া সৈকত লাগোয়া আবাসিক হোটেল কিংস ও সরদার মার্র্কেটের অর্ধেক সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। গত কয়েক দিনের ঢেউয়ের তান্ডবে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। ঘূর্র্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্র্ণিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে এখন সৈকতের পূর্ব-পশ্চিম জুড়ে দুই দিকেই শুধু ধ্বংস্তুপের চিহ্ন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ ইসাহাক আলী বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যভূমির সবুজ বন হারিয়ে ইতোমধ্যে ভূতুরে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সৈকতের সর্বত্র ধ্বংসের ছাপ পড়ে আছে। সৈকতে থাকা দোকান ভেসে গেছে। এখন প্রতি জোয়ারের পর ভাটায় সৈকতে আসলে অচেনা লাগে।
মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.আবদুল কালাম আজাদ জানান, গঙ্গামতি, কুয়াকাটা ও খাজুরা বীটের দুইশতাধিক গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া উপরে পরা গাছগুলোর তালিকা করা হচ্ছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলেও সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সবাইকে উদ্যোগ নিয়ে সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, সমুদ্র সৈকতের প্রায় ১০০ ফুটের মতো সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিনটি মার্কেট, একটি হোটেলসহ দেড় শতাধিক দোকান ভেঙ্গেচুরে গেছে। সৈকতে বালু ভর্তি জিও টিউব থাকায় কিছু রক্ষা পেয়েছে।
Leave a Reply