নাটোর সিংড়া শস্য ভান্ডার নামে খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত অঞ্চলে ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হলেও কৃষকরা এখন সারা বছরের খাবার চাউল তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিনিটি গ্রামে গ্রামে এখন চলছে ধান সিদ্ধ, শুকানো ও চাউল তৈরীর উৎসব।
অার এসব কাজে বাড়ির প্রত্যক নারীরা বাড়ির আঙিনায় কেউ ধান ভিজিয়ে রাখছেন, কেউ চুলার আগুনে করছেন সিদ্ধ, অনেকে আবার সিদ্ধ ধান শুকাচ্ছেন।
উপজেলার ডাহিয়া, সাতপুকুর, কলম, বারুহাস,আয়েশ, বিয়াশসহ চলনবিলের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কৃষকদের এই ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। কৃষকরা জানান, সারা বছর পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিজন সদস্যের ৮ মণ করে ধান লাগে। সেই হিসেব করে আমরা সারা বছরের খোরাক নেই। তবে এবছরে ধানে পোকার আক্রমণ ও ঝড়ে পড়ে যাওয়ায় ধানের ফলন অনেকের কম হয়েছে। এ কারনে কেউ কেউ খোরাকও নিচ্ছেন কম।
ধান থেকে চাউল তৈরীর এই মৌসুমে ভ্রাম্যমাণ মেশিনে ধান ভাঙানোর চাহিদা বাড়ছে। ভ্রাম্যমাণ এই মেশিন কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভাঙিয়ে দিচ্ছেন। এতে যাতাযাতের ঝামেলা অার খরচ কম হওয়ায় খুশি কৃষকরা। আয়েশ গ্রামের কৃষক সোলেমান আলী বলেন, আগে আমরা ৩ থেকে ৪ কিঃ দুরে চাউল মিলে গিয়ে ধান ভাঙিয়ে আনতাম। কিন্তু এই ভ্রাম্যমাণ মেশিন আমাদের বাড়ি বাড়ি আসায় আমরা ছেলে মেয়ে ছোট বড় সবাইকে নিয়ে এক সাথে দ্রুত ধান ভাঙিয়ে নতুন চাউল ঘরে তুলতে পারছি। এই মৌসুমে বাড়তি আয় করতে পেয়ে খুশি এই ভ্রাম্যমাণ চাউল মেশিন মালিকরাও। মেশিন মালিক বাদশা আলম বলেন, আমিও একজন কৃষক। কৃষি কাজের পাশা পাশি এই মৌসুমে জমি থেকে উঠে আসা শ্যালো মেশিন দিয়ে তৈরী করা এই ভ্রাম্যমাণ মেশিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভাঙাই। এতে আমার ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা এই মৌসুমে আয় হয়।
Leave a Reply