1. iamparves@gmail.com : admin :
  2. hdtariful@gmail.com : tariful Rumon : tariful Rumon
  3. janathatv19@gmail.com : Shohag Khan : Shohag Khan
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩০ অপরাহ্ন

শীতে কাঁপছে দেশ, থাকবে আরো দু’দিন : দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ চরমে

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০
খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা হতদরিদ্র মানুষের। ছবি: সংগৃহীত

পৌষের শুরুতেই জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। দেশজুড়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহ, বিভিন্ন জেলায় কমেছে তাপমাত্রা। উত্তর জনপদের পাশাপাশি গোটা দক্ষিণ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৃদু থেকে মাঝারি এই শৈত্যপ্রবাহ আরো দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

ফলে ওইসব এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতে দারুণ কষ্টে আছে বস্ত্রহীন মানুষ। ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ শীতজনিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে। বেশি সমস্যায় বয়স্ক ও শিশুরা। হাসপাতালগুলোয় এসব রোগীর সংখ্যাই বেশি।

হাড় কাঁপানো শীতের কবলে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চল। হিম হাওয়ার সাথে বৃষ্টির ফোঁটার মত ঝরছে কুয়াশা। দিনের বেলাতেও যেন সন্ধ্যার আবহ পথেঘাটে। উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়েও একই চিত্র। মাঝারী থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাবু জনজীবন। তীব্র শীতে যেন জমে গেছে কুড়েঘরের বিছানা-বালিশ। খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে হতদরিদ্র মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, ফেনী, পাবনা, নওগাঁর বদলগাছি, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ভোলা ও বরিশালে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

সাধারণত ব্যারোমিটারের পারদ ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়, ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে নেমে এলে মাঝারি ও ৪-৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।

রবিবার রাতে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। শনিবার রাজারহাটের তাপমাত্রা ছিল ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর তেঁতুলিয়ায় ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিন শ্রীমঙ্গলেও তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে নেমে যায়। ঢাকায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আগের দিন ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রা ১১ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করছে। এসব এলাকায় সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পার্থক্যও কম।

সাধারণত উভয় পর্যায়ের তাপমাত্রার পার্থক্য যত কম থাকে শীতের অনুভূতি তত বেশি থাকে। কেননা, এ ধরনের পরিস্থিতিতে দিনের বেলায় সূর্য ততটা উত্তপ্ত করতে পারে না। মেঘের উপস্থিতিতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন সেখানে শীতের প্রকোপ বেড়ে যায়। তবে মেঘ কেটে গেলে সূর্যকিরণ পৌঁছে ভূপৃষ্ঠে। তখন কমে শীতের তীব্রতা। বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে আরো দুই থেকে তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:৪০
  • ১২:২৫
  • ৪:০৬
  • ৫:৪৫
  • ৭:০৪
  • ৭:০০