দাগহীন ত্বক এবং সিল্কি চুল কে না চায়! কিন্তু খুব কম জনই ত্বক-চুল মনের মতো পায়। তাই বেশিরভাগ মহিলারাই বিউটি ট্রিটমেন্ট করে। কিন্তু বিউটি ট্রিটমেন্ট করলে কিছু সময়ের জন্য ত্বক ঠিক থাকে, পরে আবার ত্বক আগের মতো হয়ে যায়। তাই ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলি সর্বোত্তম হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি দীর্ঘ সময় ত্বককে ভাল রাখে। বেশ কিছু উদ্ভিদ আছে, যেগুলি আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য খুব উপকারি। আজ আমরা এই আর্টিকেলে এরকমই কিছু টিপস আপনাদের দেব। অ্যালোভেরা এমনই একটা উদ্ভিদ, যা আমাদের অনেক উপকারে লাগে। বিশেষত, ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা সবচেয়ে বেশি উপকারি। অ্যালোভেরা ত্বকের সব সমস্যা দূর করে। এতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি গুণ রয়েছে, যা ব্রণ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া, অ্যালোভেরা ব্যবহারে সানবার্নও দূর হয়। এর জন্য আপনি ফ্রেশ অ্যালোভেরা নিয়ে তার জেল বার করে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তুলসীতে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে যা ব্রণ কমাতে সহায়তা করে। মুখে তুলসীর পেস্ট লাগালে ত্বক দাগহীন হয়ে ওঠে। তুলসীর ফেস প্যাক বানানোর জন্য, তুলসী পাতার সঙ্গে অল্প জল দিয়ে ভাল করে পিষে নিন। এই পেস্টটি আপনার মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার তুলসী পেস্ট প্রয়োগ করুন। পেয়ারা পাতায় ভিটামিন, জিঙ্ক, পটাসিয়াম এবং প্রোটিন থাকে, যা চুল পড়া কমায় এবং চুল ভাল রাখে। পেয়ারা পাতার হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে, প্রথমে এক লিটার জল ফুটিয়ে নিন। এর মধ্যে পেয়ারা পাতা দিন, জল অর্ধেক হয়ে গেলে জল ঠান্ডা হওয়ার পরে এটি চুলের গোড়ায় লাগান বা এই ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার পেয়ারা পাতার জল ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করে আপনি খুশকি কমাতে পারেন। নিমের হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে, নিম পাতার সঙ্গে অল্প জল দিয়ে ভাল করে এটি পিষে নিন। এর পরে নিম বাটা দইয়ের সাথে মিশিয়ে পেস্ট বানান। এই পেস্টটি আপনার স্ক্যাল্পে লাগান। ২০ মিনিট পরে চুল ধুয়ে ফেলুন।
Leave a Reply