ময়মনসিংহের ভালুকায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় ৪ বখাটে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের কয়েকদিন পর আগাম জামিন নিয়ে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে বখাটের পরিবারের লোকজন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর (শনিবার) উপজেলার
বারবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে চার বখাটেকে আসামী করে গফরগাও থানায় মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন, উপজেলার বারবাড়ীয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন ওরফে হেলির ছেলে সোহাগ, চিলাকান্দা গ্রামের মকবুল মিলিটারির ছেলে বিপ্লব, আব্দুল মতিনের ছেলে নাজমুল এবং আজিজুল হকের ছেলে বাবু মিয়া।
এ বিষয়ে বুদ্ধিপতিবন্ধী কিশোরীর বাবা বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর (বুধবার) দুপুরে আমার মেয়ে নানার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। রাস্তায় সোহাগ তাকে একা পেয়ে তার নানার বাড়িতে পৌছে দেয়ার কথা বলে রিক্সায় তুলে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। ওই খানে আগে থেকেই উৎপেতে বিপ্লব, নাজমুল, বাবু জোড় করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষন চেষ্টা করে। পরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে লোহার রড দিয়ে কিশোরীকে পিটিয়ে তার বাম পা ভেঙ্গে দেয় এবং সারা শরীর রক্তাক্ত জখম করে।
তিনি বলেন, পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রায় দেড় মাস চিকিৎসা করানোর পর তার পায়ে ইনফেকশন ধরা পড়ে। তার পা কেটে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তিনি আরও বলেন, এঘটনায় মামলা দায়েরের কয়েকদিন পরেই আসামীরা আগাম জামিন নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা করছেন এবং মামলা তুলে নিতে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলা করার সময় আমি প্রথমে অভিযোগে উল্লেখ্য করেছিলাম, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে আমার মেয়েকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে। পরে ওসি সাহেব ওই অভিযোগ পাল্টে শুধু পিটিয়েছে এমন অভিযোগে মামলা রুজু করেন। আমি তখন প্রতিবাদ করলে ওসি সাহেব বলেন, ওইদিন ধর্ষণ চেষ্টার কোন ঘটনা ঘটেনি।
মামলার অভিযোগের বিষয়টি পাল্টে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে গফরগাও থানার ওসি অনুকুল সরকার বলেন, মামলা তুলে নেয়া হুমকির বিষয়টি ভিক্টিমের পরিবার থানায় জানাননি। তবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ মামলার চার্জশীট দেয়া হবে।
Leave a Reply