তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ বর্বরতার পেছনে আমার বোনের সাবেক স্বামী সুমন মিয়ারও হাত আছে বলে আমি ধারণা করছি৷ কারণ, ১২ বছর আগে আমার বোনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভেঙে গেছে৷ আর ওই দিন রাতে সে আমার বোনের সঙ্গে দেখা করতে আসার কয়েক মিনিট পরই সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢোকে৷
তিনি আরো অভিযোগ করেন, নির্যাতনের পর আশপাশের কয়েকজন বয়স্ক লোকও এসেছিলেন৷ তারাও কোনো কথা বলেননি৷
নির্যাতিতার বোন জানান, ২ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে তার বোন নোয়াখালীর মাইজদীতে তার বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন ৷ ৪ অক্টোবর ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এর আগে তারা দুই নির্যাতনকারীর মা-বাবা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে ঘটনাটি জানান। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ ৩২ দিনে নির্যাতনের শিকার নারী ও তার পরিবারকে হুমকি-ভয়ভীতি দেখানো হয়।
নির্যাতনের শিকার নারীর জানান, মাইজদীতে তার বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার পর তাকে সেই রাতের নির্যাতনের বিস্তারিত জানিয়েছিলেন ওই নারী৷ এছাড়া বছরখানেক আগে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলেও বোনকে জানান তিনি৷ এরপর তার ছোট বোন একলাশপুরে তার বোনকে নিয়ে ফেরেন৷
ওই নারীর বোন জানান, প্রথমে দেলোয়ার বাহিনীর দেলোয়ার এবং আরো এক সদস্য বাদলের পরিবারের কাছে তারা নালিশ দেন৷ কিন্তু তাদের বাবা-মা বিষয়টি আমলে না নিয়ে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়৷ তারা দাবি করেন, তাদের ছেলেরা ‘ভালো’৷ ওই নারীই ‘মিথ্যা’ অভিযোগ করছে৷ এরপর তিনি তার বোনকে নিয়ে সোহাগ মেম্বারের কাছে যান। সোহাগ মেম্বার প্রথমে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন তবে সময়ক্ষেপণ করছিল৷ প্রথমে অনেক সহানুভূতি দেখালেও পরে চোখ উলটায়৷ একপর্যায়ে দুই বোন থানায় অভিযোগ করার কথা বললে মেম্বার তাদের ভয় দেখায়৷ বলে, ‘থানায় গিয়ে কাজ হবে নেই। উল্টো তোমরাই বিপদে পড়বে৷’
নির্যাতিতার বোন বলেন, এরপর তো ভিডিও প্রকাশ পেলো৷ পুলিশ তৎপর হলো৷ পুলিশ এসে মাইজদীতে আমার বাসা থেকে বোনকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে যায়৷ এখন তিনি পুলিশের নিরাপত্তার মধ্যেই থানায় আছেন৷
মাইজদীতে পালিয়ে যাওয়ার পরও দেলোয়ার বাহিনী ওই নারীর পিছু ছাড়েনি বলে জানান তার বোন৷ তারা তাকে বাড়িতে ফিরে আসার জন্য নানাভাবে চাপ দিতো৷ ফোন করতো৷ ফিরে না এলে ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়৷ এরপর ফোনে আবার ওই নারী সোহাগ মেম্বারকে অনুরোধ করেন তারা যেন এখন তাকে মুক্তি দেয়৷ যেন আর ঝামেলা না করে৷ এতেও কোনো কাজ হয়নি৷ সোহাগ মেম্বার শুধু বলেছেন ওদের অনেক ক্ষমতা, ওরা যা বলে তা করাই ভালো৷
তারা ১০ হাজার টাকা চাঁদাও দাবি করে, নয়তো ওই বর্বর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেয়৷ কিন্তু নির্যাতিত নারীর কাছে টাকা না থাকায় দিতে পারেননি৷ তখন তিনি বোনের বাড়িতে থাকেন, টাকা দেবেন কোথা থেকে৷ এমন পরিস্থিতিতেই ওই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে৷
পুলিশকে জানাননি কেন- জবাবে তিনি বলেন, মেম্বার জানাতে দেয়নি৷ আর পুলিশকে জানালে আরো ভয়ংকর পরিণতি হবে বলে তারা হুমকি দেয়৷ তারা বলে পুলিশ কিছুই করবে না৷
তিনি বলেন, এখন যা হয়েছে ভালো হয়েছে৷ এই ভিডিও প্রকাশ না পেলে আমার বোন আরো নির্যাতনের শিকার হতো৷ বিচার তো দূরের কথা৷ এখন আশা করছি আমরা বিচার পাবো৷ সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই৷
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার এবং ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এরমধ্যে নয়জন
Leave a Reply