গত কয়েকদিন ধরে নিত্যপণ্যের বাজারে উত্তাপ বইছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে। দেশে হঠাৎ করে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতিবছরই বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে রোজার মাস এলে দ্রব্যমূল্য হয়ে ওঠে আকাশচুম্বী।
তবে এবার রোজা আসার আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। গেল বছর করোনা মহামারী আসার পর থেকেই দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জনজীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে অনেকেই জীবিকা হারিয়ে কঠিন বিপাকে; তার ওপর ক্রয়ক্ষমতার সীমাহীন দ্রব্যমূল্য জনজীবনে নাভিশ্বাস ছড়াচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিম্ন আয়ের মানুষকে অর্ধাহার ও অনাহারে দিন কাটাতে বাধ্য করছে। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে প্রতিবছর পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন হলেও দ্রব্যমূল্য ঠিকই বাড়ছে।
প্রতিবছর শোনা যায়, কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না কিন্তু বাজারে চালের দাম ক্রয়ক্ষমতার ঊর্ধ্বে। এছাড়া কয়েকদিন যেতে না যেতেই পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। নিত্যপণ্যের বাজারে এমন অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। তবে দ্রব্যমূল্য কেন ঊর্ধ্বমুখী হয় সেই উত্তর কারও কাছে পাওয়া যায় না।
মূলত অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ও মজুতদাররা দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিজনিত সমস্যার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পণ্য মজুদ রেখে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। দ্রব্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারকে আরও কঠোর এবং আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
আরিফুল ইসলাম
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী, চট্টগ্রাম
Leave a Reply