বাড়ির কাছেই উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি পদে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন রেজাউল করিম বিপ্লব। কিন্তু পরীক্ষার সম্পন্ন হওয়ার প্রায় তিন ঘণ্টা পর প্রবেশপত্র হাতে পেয়েছেন তিনি। তখন জানতে পারেন ওই পদের নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই যুবক প্রতিবাদের জায়গা না পেয়ে সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়ে নিজের ক্ষোভের কথা জানান। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা রাজিবপুর আফতাব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে আজ মঙ্গলবার।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই বিদ্যালয়ের জন্য অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে একজন নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই পদে আবেদনের পর কতৃপক্ষ যাচাই-বাচাই করে ১৮ জনের আবেদনপত্রকে বৈধতা ঘোষণা করেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত কারণে নিয়োগ পরীক্ষাটি পাশের উপজেলা গৌরীপুরের আরকে উচ্চ বিদ্যালয়ে হবে মর্মে প্রবেশপত্র ইস্যু করে নিয়োগ পরীক্ষার কতৃপক্ষ। এতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মিজানুর রহমান নামে এক প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন। তখন ঘটনার সত্যতা পেয়ে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে ওই প্রার্থী মিজানুর রহমান অনিয়মের অভিযোগ এনে ঈশ্বরগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। এর মধ্যেই আজ মঙ্গলবার ফের নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করেন কতৃপক্ষ।
জানা যায়, ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় দফায় চরনিখলা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেন। অন্যান্য প্রার্থীরা পরীক্ষা গ্রহণে বিষয়টি জানতে না পাড়া এমনকি অনেকেই পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর হাতে পান পবেশপত্র। তখন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ইতিমধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে গেছে।
রেজাউল করিম বিপ্লব নামে এক প্রার্থী জানান, তিনি আগে জানতেন না আজ সকাল ১০টায় পরীক্ষা হবে। পরে দুপুর একটার পর ডাক বিভাগের পিয়ন তাকে প্রবেশ পত্র পৌঁছে দেন।
ইমরান সরকার নামে আরেক প্রার্থী বলেন, তিনি প্রবেশ পত্রই পাননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ রাজিবপুর আফতাব উদ্দিন উচ্চ প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, আমি যথা নিয়মেই প্রবেশ পত্র রেজিস্ট্রি ডাক যোগে প্রার্থীদের ঠিকানায় পাঠিয়েছি। কেউ না পেলে বা বিলম্বে পেলে আমাদের কিছুই করার নাই।
এ ব্যাপারে নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজি প্রতিনিধি গৌরীপুর আর কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাধন শিক্ষক মোছাম্মৎ লুৎফা খাতুন জানান, সাতদিন পূর্বে প্রার্থীদের অবহিত করার কথা। সকল প্রার্থীদের অবহিত করা না করার বিষয়টি জানা নেই। তবে পরীক্ষার সময় ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে পরীক্ষার সচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনজন প্রার্থী উপস্থিত থাকলেও চলে।
Leave a Reply