নোয়াখালীর ভাসান চরের পুনর্বাসনের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) স্ট্যান্ডার্ড ক্লাস্টারের নিয়ম মেনে এক লাখ রোহিঙ্গা জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৩.৯ বর্গমিটারের আবাসস্থল। তারই ধারাবাহিকতায় দিনবর ১৬৪২ জন রোহিঙ্গার স্থানান্তরের প্রথম ধাপ শেষ করেছে নৌ বাহিনী।
শনিবার সকালে নৌবাহিনীর পরিচালক কমোডর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জানান, কক্সবাজারের উখিয়া থেকে আসা রোহিঙ্গারা নিরাপদ আবাসন দেখে খুশি রোহিঙ্গারা। তাদের দূর থেকে ভাসানচর সম্পর্কে যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছিল গতকাল ভাসানচরে এসে সে ধারণাটি ভেঙ্গে যায়।
ইতোমধ্যে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছি আমরা। একই সাথে তাদের এক মাসের বিভিন্ন খাবার সামগ্রীর সহয়তা প্রদান করা হবে। তাদেরকে কর্মসংস্থানের সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রোহিঙ্গাদের সকল বিষয়ে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে শুরু করে আমাদের বিভিন্ন প্রকল্প কর্মকর্তা রয়েছে তারা তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। বাকি রোহিঙ্গাদের ও নিয়ে আসা হবে। এটা আমাদের প্রথম ধাপ ছিল।
এর আগে প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা জীবন ও জীবিকার জন্য শতভাগ প্রস্তুত করা হয়েছিল ভাসানচর। নিরাপদ আবাসন ও জীবনযাপনের জন্য প্রায় সব উপাদানই রাখা হয়েছে এখানে। তৈরি করা হয়েছে আবাসিক ভবন, বাজার, হাসপাতাল, ক্লিনিক, থানা, অফিস সেন্টার। জীবিকা নির্বাহের জন্য রয়েছে পশুপালন, হাঁস-মুরগী পালন সহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা
উল্লেখ্য গত শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে তারা ৩টি জাহাজে করে নারী-পুরুষ,শিশুসহ ভাসান চরে এসে পৌঁছায়। এর আগে, কক্সবাজারের উখিয়া থেকে যাত্রা করে ১ হাজার ৬৫২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ৩ টি জাহাজ।
Leave a Reply