কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারনে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। বিস্তীর্ন মাঠ জুড়েই বোরো ধানের ক্ষেত। প্রখর রোদে রবিবার দিনভর পিছিয়ে পড়া কৃষকদের ক্ষেতের পাকা বোরো ধান কেটে বাড়ির উঠানে পৌঁছে দিয়েছে যুবলীগের নেতা কর্মীরা।
মহিপুর থানা যুবলীগের আহŸায়ক মিজানুর রহমান বুলেটের নেতৃতে উপজেলার বিপিনপুর গ্রামে বিপদাপন্ন কৃষক আব্দুল আজিজের ১০ বিঘা জমির বোরো ধান কেটে কাটা হয়। পরে যুবলীগের নেতাকর্মীরা আটি বেধে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।
এছাড়া একই দিন দুপুরে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার টিয়াখালী গ্রামের অসহায় কৃষক কবিরের ২ বিঘা জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অন্ততঃ ৫০ জন যুবলীগের নেতাকর্মী ধান কাটায় অংশ গ্রহন করে।
কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, এ বছর বোরো চাষের জন্য আবহাওয়া মোটেই ভালো ছিলনা। বোরো চাষের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কোন বৃষ্টি হয়নি। পুরো মৌসুম জুড়ে পুকুর, খাল-বিলের পানির উপর নির্ভর করতে হয়েছে। এরপর ক্ষেতের ধান পেকে গেছে কিন্তু দেশে করোনার কারনে ক্ষেতের ধান কাটার জন্য শ্রমিক না পাওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। শেষ পর্যন্ত রবিবার মহিপুর থানা যুবলীগের যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আমার ক্ষেতের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। এতে তিনি খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সকল যুবলীগ নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, মহামারি করোনায় শ্রমিক সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। ওইসব বিপদগ্রস্থ কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশক্রমে উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে কৃষককে ক্ষেতের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।
এ বিষয়ে মহিপুর থানা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান বুলেট বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকল সহযোগী সংগঠনকে নির্দেশে করেছেন। বাংলাদেশ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের অহব্বানে আমরা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি।নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিচ্ছি। যেখানেই কৃষকরা সমস্যায় পড়বেন সেখানেই আমরা কৃষকদের সহযোগিতায় মাঠে নামবো।
Leave a Reply