ময়মনসিংহের নান্দাইলে পরপর দুই কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় সোলেমা খাতুনকে (২২)তালাক দিয়েছেন স্বামী রুবেল মিয়া (৩০)।
জানা গেছে, রুবেল মিয়া নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের দিলালপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র। পেশায় একজন গাড়িচালক। ঢাকার মিরপুরে জনৈক ব্যক্তির প্রাইভেট গাড়ি চালান তিনি।
রুবেল মিয়ার সঙ্গে প্রায় ৯ বছর আগে সোলেমা খাতুনের বিয়ে হয়। তবে রুবেল মিয়া ইতোপূর্বেও আরেকটি বিয়ে করেছেন। পরে বিয়ের ঘটনা জানতে পারেন গৃহবধূ সোলেমা খাতুন। এরপর থেকেই কোনো প্রতিবাদ করলেই শুরু হয় বিভিন্ন নির্যাতন। অবশেষে কাঁচপুর এলাকায় একটি পোশাক কারাখানায় চাকরি নেন সোলেমা।
সোলেমা খাতুনের ঘরে রয়েছে ছয় বছরের এক কন্যাসন্তান। কিন্তু পরবর্তীতে এক মাস আগে তার আরও একটি কন্যাসন্তানের জন্ম নিলেই ঘটে বিপত্তি। পরপর কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় স্বামী রুবেল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে সোলেমা খাতুনকে মৌখিক তিন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
সোলেমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও তার সঙ্গে মানসিক ও পাশবিক নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে দুই কন্যাসন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে অতিকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন গৃহবধূ সোলেমা। বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সুবিচার পাননি।
এ ব্যাপারে সোলেমা খাতুন জানান, স্বামী রুবেল মিয়া প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য আমার ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালায়। আমি আমার স্বর্ণালংকার বিক্রি করে তাকে টাকা দিয়েও শান্তি পাচ্ছি না। আমার ঘরে আরেকটি মেয়েসন্তান জন্ম নেওয়ায় সন্তানটিকে অন্যত্র দত্তক দিয়ে দিতে বলে। তাতে রাজি না হওয়ায় আমাকে তিন তালাক দেয়।
অপরদিকে স্বামী রুবেল মিয়া স্ত্রীকে তালাকের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সে যদি আমার সংসার না করে জোর করে কী সংসার করানো যায়?
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বৃহস্পতিবার জানান, সোলেমা খাতুনের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply