মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিস্বাক্ষরিত সনদ বাতিলসহ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সনদ, লাল মুক্তিবার্তা, গেজেট ইত্যাদি বাতিলের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় হযবরল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলেছে। আর এসব কর্মকাণ্ডের ফলে প্রায় ৫০ বছরেও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ জাতীয় জীবনে স্থিতি পাচ্ছে না।কারণ, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৪০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে সবুজ কালিতে নিজ নাম স্বাক্ষর করে যেসব সনদ প্রদান করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী যেসব মুক্তিযোদ্ধাকে নিজ হাতে স্বাক্ষর করা সনদ তুলে দিয়েছিলেন, বছরের পর বছর যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ৩০ বছর পার করে যেসব মুক্তিযোদ্ধার নাম লাল মুক্তিবার্তায় ছাপানো হয়েছিল এবং অতঃপর সরকারিভাবে গেজেটভুক্ত করে যাদের নাম মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল- হিংসা, বিদ্বেষ, দলাদলি, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি কারণে যে কেউ একটি অভিযোগ দাখিল করলেই তাদেরকেও হয়রানির মুখে ফেলা হচ্ছে!
আর স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর যিনি বা যারা এ ধরনের হেনস্তা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন বা এই বৃদ্ধ বয়সে হানাহানি মোকাবেলায় অনীহা প্রদর্শন করছেন, তাদের সবারই সনদ, গেজেট বাতিল করে ভাতা প্রদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। কারণ এতদিন পর অনেকেই এসব ইঁদুরদৌড়ে শামিল হতে পারছেন না, অনেকের সহযোদ্ধারা মারা গেছেন, আবার ইতোমধ্যে অনেক মুক্তিযোদ্ধারই স্মৃতিশক্তি শিথিল হয়েছে, অসুখ-বিসুখে শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হয়েছে।
এ অবস্থায় তারা হানাহানি, দলাদলি, হিংসাবিদ্বেষ, নোংরামি ইত্যাদির ধারে-কাছে ভিড়তে চান না। অথচ স্বাধীনতার এতদিন পর নতুন করে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এসবই শুরু হয়েছে! এ অবস্থায় আমার কাছে এ ধরনের এমন একটি অভিযোগের কপি এসেছে, যেখানে একজন মুক্তিযোদ্ধা, যিনি তার জেলার যুদ্ধকালীন কমান্ডার ছিলেন, তার বিরুদ্ধেও ‘তিনি যুদ্ধ তো করেনইনি, বরং তিনি একজন ছিনতাইকারী ও ডাকাত ছিলেন’ বলে মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
আর এভাবে প্রচুর মুক্তিযোদ্ধার নামে মিথ্যা অভিযোগ দাখিলের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জামুকা, এমনকি জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন অফিস পর্যন্ত সরগরম করে রাখা হয়েছে। আর এসব অফিসের সামনে, বিশেষ করে জামুকা অফিসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দলাদলি, গালাগালি, হাতাহাতি, মারামারি লেগেই আছে। ফলে দেশ ও জাতির কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে ভুল বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।
এ কথা বলে এমনটি বোঝানো হচ্ছে না যে, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন এমন কেউ তালিকাভুক্ত হননি, বা তালিকায় ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে না; বরং যিনি বা যারা প্রধানমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর সনদ জাল করে ওইসব জাল সনদের মাধ্যমে গেজেটভুক্ত হয়েছেন, সেসব জাল সনদ শনাক্ত করে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করে বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ফয়সালা করা উচিত বলেই মনে করি। কিন্তু তাই বলে আসল সনদধারী মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে হয়রানি-পেরেশানিতে ফেলা উচিত হচ্ছে বলে মনে হয় না।
কারণ দেখা যাচ্ছে, মিথ্যা অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘টানাহেঁচড়া’ করে ইচ্ছামতো কাউকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে, আবার কাউকে আটকে দেয়া হচ্ছে! আর মন্ত্রণালয়ের সংজ্ঞা অনুযায়ী যাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ গ্রহণ করে ঢাকায় ডেকে তামাশার সৃষ্টি করা হচ্ছে। কারণ ঢাকার জামুকা কার্যালয়ে যে পরিবেশে শুনানি গ্রহণ করা হয়, তাতে কোনোমতেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয় না। সেখানে এক ব্যক্তির মর্জিমাফিক স্বৈরাচারী আচরণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সার্কুলার অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, অথচ এক্ষেত্রে নিজেদের তৈরি আদেশ-নির্দেশও মানা হচ্ছে না। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে শত বছরেও এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে হয় না। স্বাধীনতার সময় পুরো জাতিই যেখানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আর সেই যুদ্ধে যে যেখানে যেভাবে পেরেছিলেন সেভাবেই পাক আর্মিকে পর্যুদস্ত-পরাস্ত করেছিলেন, সে অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা নির্ণয়ের কাজটি বড়ই কঠিন।
কারণ রাজাকার, আলবদর এবং তাদের সহযোগী ছাড়া দেশের প্রায় সব মানুষেরই মুক্তিযুদ্ধে কিছু না কিছু অবদান আছে। সুতরাং এক অর্থে তারাও মুক্তিযোদ্ধা। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার যেসব মানুষ ও পরিবার মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন, আশ্রয় দিয়েছিলেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা। এ বিষয়ে আজ থেকে ২৫ বছর আগে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় এক লেখায় আমি সীমান্তের একজন লোহা পেটানো কামারের কথা তুলে ধরেছিলাম, যার কিছুটা হয়তো পরে বলব। এখন আগের কথায় ফিরে আসি।
এ লেখাটি লিখতে বসার আগে আমাকে অনেক তথ্য-উপাত্ত জোগাড় করতে হয়েছে। যেমন, একজন যুদ্ধকালীন জেলা কমান্ডারের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগের কপিও সংগ্রহ করেছি। তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে অত্যন্ত নোংরা অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে এবং এসব নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা, টানাহেঁচড়াও কম হচ্ছে না! আবার এমন অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে জানি ও চিনি, এসব দলাদলি, হানাহানির কারণে যাদের অনেকের সনদ বাতিলসহ ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে!
কারণ এসব মুক্তিযোদ্ধা দলবল নিয়ে জামুকা কার্যালয়ে এসে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের সঙ্গে হাতাহাতি-মারামারি করতে পারেননি। দেখা গেছে, প্রায় প্রতিদিন যেসব মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগের শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকায় আসেন, প্রথমেই তারা জামুকা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে পরস্পর কলহ, ফ্যাসাদ, হাতাহাতি, এমনকি মারামারিতে লিপ্ত হন! আর সে অবস্থায় কোন গ্রুপ শক্তিশালী, সেই বিষয়টিই প্রাধান্য পায়। কারণ এভাবে একটি গ্রুপকে প্রথমেই নিস্তেজ করে দেয়া হয়।
আর এসব কাজে চাঁদাবাজিরও অভিযোগ আছে। অনেক জেলাতেই ভাতা ওঠানোর দিন প্রভাবশালীরা নাকি ব্যাংকে উপস্থিত থেকে ভাতার একটি অংশ চাঁদা হিসাবে আদায় করেন এবং কেউ না দিলে তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দাখিল করা হয়। যাক সে কথা। আমি এখানে আমার চেনাজানা একজন মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও ভাতা বাতিলের কথা উল্লেখ করতে চাই। ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ পাবনা শহরের টেলিফোন ভবনে অবস্থানরত পাক আর্মিদের আমরা ঘেরাও করে ফেলি এবং সারা দিনের যুদ্ধে তারা প্রায় সবাই নিহত হয়।
এ অবস্থায় পরদিন সকালে জানতে পারি, সার্কিট হাউসে দু’জন পাকসেনা অবস্থান করছে। পাবনা পুলিশ লাইনের অস্ত্রাগার লুট করে পাওয়া এবং তা দিয়ে আগের দিন যুদ্ধ করা থ্রি নট থ্রি রাইফেলটি সঙ্গেই ছিল বিধায় এক দৌড়ে সার্কিট হাউসে গিয়ে দেখি আমার আগেই সেখানে আরও একজন পৌঁছে গেছেন এবং তিনিও রীতিমতো পাকসেনা দু’জনের দিকে একটি থ্রি নট থ্রি তাক করে আছেন। আমিও দ্রুত রাইফেল তাক করতেই পাকসেনাদের একজন বলে উঠল, ‘দশ কদম পিছে রহো!’ সঙ্গে সঙ্গে আমার সেই অগ্রগামী মুক্তিযোদ্ধা, যিনি বয়সে আমার চেয়ে চার-পাঁচ বছরের ছোট হবেন, তার অস্ত্র গর্জে উঠল এবং সেই সঙ্গে আমিও গুলি চালালাম।
আর পাকসেনা দু’জন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। উল্লেখ্য, আগের দিনের টেলিফোন ভবনের যুদ্ধে ওরা দু’জন আহত হয়েছিল বলে তাদের হাতে চায়নিজ অটোমেটিক রাইফেল থাকা সত্ত্বেও তারা গুলি করেনি। কারণ আহত ও যন্ত্রণাকাতর অবস্থায় তারা গুলি করার মানসিক অবস্থায় ছিল না। অন্যথায় ফলাফল অন্যরকমও হতে পারত। সেদিনের সে ঘটনায় সম্ভবত আমার অগ্রগামী যোদ্ধার গুলিতেই সেই দু’জন পাকসেনা খতম হয়েছিল, কারণ গুলির শব্দ শোনামাত্র আমি গুলি চালিয়েছিলাম। এ অবস্থায় গোলাগুলির শব্দে সেখানে লোক জড়ো হলে আমরা চলে এসেছিলাম।
আজ ভাগ্যের কী পরিহাস, আমার চেয়ে কমবয়সী অকুতোভয় সেই মুক্তিযোদ্ধার নামে অভিযোগ দেয়ায় সনদ বাতিলসহ তার ভাতাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে! কয়েকদিন আগে তিনি ফোন করে জানালেন, এতৎসংক্রান্ত মামলার কাজে তিনি ঢাকায় এসেছেন। অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি অক্ষুণ্ন রাখতে তথা অধিকার রক্ষার্থে তাকে এখন আদালতের দরজা খটখটাতে হচ্ছে। তাও আবার স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর! পাশাপাশি আরেকটি উদাহরণ টেনে দেখাতে চাই আমার এক নিকটাত্মীয় রাতারাতি কীভাবে মুক্তিযোদ্ধা বনে গেলেন।
একাত্তরে আমার এই আত্মীয়ের বয়স ছিল ১৪-১৫ বছর। তো সে সময়ে তিনি তার এলাকার প্রভাবশালী এক নেতার ভাবশিষ্য ছিলেন। সেই নেতার মিছিল-মিটিংয়ে তিনি সক্রিয় থেকে গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিতেন। আর এভাবে স্বাধীনতার পরও তিনি সেই নেতার সান্নিধ্যে থেকে টুকটাক ব্যবসা-বাণিজ্য করতে থাকাবস্থায় একদিন আমেরিকা পাড়ি জমান।
অতঃপর দীর্ঘ ৪০ বছর আমেরিকা থেকে সন্তানদের সেখানে রেখে কয়েক বছর আগে নিজে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং বছর দুয়েক আগে আমাকে বলেন, তার এলাকার অনেকেই নতুনভাবে দরখাস্ত বা ফরম পূরণ করে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাচ্ছেন এবং এ কাজে তাকেও উৎসাহিত করা হচ্ছে! তিনি এ পথে পা বাড়াবেন কিনা সে বিষয়ে আমার মতামত চাইলে বললাম, মুক্তিযুদ্ধে অবদান থাকলে বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন। জবাবে তিনি বললেন, অতীতে তাদের সঙ্গে ওঠাবসা করতাম বলে তারা কাজটি করে দিতে চাচ্ছেন!
তাছাড়া প্রভাবশালী যে নেতার মাধ্যমে অনেকে হয়েছেন, প্রতিটি নির্বাচনের সময় নির্বাচনী খরচের জন্য তিনি আমেরিকায় আমাকে ফোন করতেন এবং আমিও টাকা পাঠাতাম। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি আর কথা না বাড়িয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যাই এবং বলা বাহুল্য, সর্বশেষ নতুন মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তিতে তিনিও একজন মুক্তিযোদ্ধা!
লেখাটির কলেবর আর বাড়াতে চাই না। কারণ আরও অনেক কিছুই জানি এবং দেশের মানুষও অনেক কিছুই জানেন। এ অবস্থায় নতুন করে যেসব মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং হচ্ছে, আবার বানোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে যেসব মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে- সেসব কর্মকাণ্ড এখনই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় ভবিষ্যতে অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ এসব ঘটনার পুনঃতদন্ত হবে এবং সর্বশেষ তালিকাভুক্তি নিয়ে আবারও যাচাই-বাছাই হবে! আর কে জানে স্বাধীনতার শতবছর পরও তা অব্যাহত থাকবে কিনা!
আগেই উল্লেখ করেছি, যিনি বা যারা জাল সনদের মাধ্যমে তালিকা ও গেজেটভুক্ত হয়েছেন, এ লেখাটির উদ্দেশ্য তাদের প্রতি কোনো সহমর্মিতা প্রদর্শন নয়। আর সেসব জাল সনদধারীর গেজেট বাতিলের বিরুদ্ধেও বলার কিছু নেই।
কিন্তু স্বাধীনতার পর তৃণমূল যাচাই-বাছাইসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ৩০ বছর পর যেসব মুক্তিযোদ্ধার নাম লাল মুক্তিবার্তায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, এমনকি এসব যাচাই-বাছাইয়ের কোনো কোনোটি গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে করা হয় এবং সেসবের ভিত্তিতে ২০০০-২০০১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিস্বাক্ষরিত সনদ যেসব মুক্তিযোদ্ধার হাতে তুলে দেয়া হয়, আজ এতদিন পর হিংসা, বিদ্বেষ ইত্যাদি কারণে কেউ অভিযোগ করায় সেসব আসল সনদও বাতিল করে ওইসব মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ করে দেয়া হলে একটি সরকারের মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত সনদ তথা দালিলিক প্রমাণ প্রদানের বৈধতাও তো অস্বীকার করা হয়, নাকি?
উপরিউক্ত অবস্থায় আজ থেকে ২০ বছর আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যাদের হাতে সনদ তুলে দিয়েছিলেন, সেসব সনদও বাতিল করায় তাদের অনেকেই এখন ভাতাবঞ্চিত হয়ে নিদারুণ দুঃখ-কষ্টে আছেন। এ কথাটি প্রধানমন্ত্রী জানেন কিনা, সেটিও একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসবকিছু বিবেচনা করে বিষয়টির প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করাই শ্রেয়।
ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন : কবি, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট
সূত্র: যুগান্তর
Leave a Reply