কেরানীগঞ্জের বোরহানীবাগে এক কিশোরীর (১৬) সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক রাজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের জের ধরে মাঝে মধ্যে তারা লুকিয়ে মেলামেশা করত। শনিবার রাতে প্রেমিকের বাড়িতে তারা ধরা পড়ে যায়।
পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মধ্যরাতে প্রেমিকার বাড়িতে দুই লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে দুজনের বিয়ে পড়ানো হয়। পরদিন রোববার ছেলে এ বিয়ে মানবে না বলে জানালে মেয়ের মা বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
রোববার রাতেই রাজন মাহমদুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরীর মা ও মামলার বাদী জানান, রাজন মাহমুদ তাদের প্রতিবেশী। কয়েক মাস পূর্বে তার মেয়ের সঙ্গে রাজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং লুকিয়ে তারা মেলামেশা করত। তবে এটা তাদের জানা ছিল না। শনিবার রাতে রাজন তাদের বাড়িতে এসে একটি ঘরে তার মেয়ের সঙ্গে মেলামেশার সময় বাড়ির লোকজন রাজনকে আটক করে।
তিনি জানান, তাদের ও স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে রাজনের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পরদিন রাজন বিয়ে মেনে নেবে না বলে তাদের জানায়। পরে রাতে তিনি থানায় গিয়ে মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর রাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় তিনি যুগান্তরকে ফোনে বলেন, রাজন গ্রেফতার হওয়ার পর তার পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ফলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মামলা তুলে নেব। দেনমোহর বাড়িয়ে পুনরায় মেয়েকে রাজনের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হবে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, যেহেতু মেয়েটির বয়স ১৬ বছর। কাজেই আইন অনুযায়ী সে নাবালিকা। কাজেই এ বিয়ে বৈধ হবে না। এজন্য ধর্ষণের অভিযোগে রাজনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দুই পরিবারের আপস-মীমাংসার বিষয়ে ওসি বলেন, সেটা তাদের বিষয়। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে আদালত প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দেবেন।
Leave a Reply