কথায় আছে, “ফাল্গুণের বৃষ্টি আমের জন্য বিষ।” তবে এই বৃষ্টি সামান্য হলে তা আবার আমের জন্য আর্শীবাদ হয়ে দাড়ায়। রাজবাড়ীর জেলা সহ গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সামান্য পরিমানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। ফাগুনের কয়েক মিনিটের এই বৃষ্টি আমের গুটির জন্য আর্শীবাদ বলে মনে করেন আম চাষী, ব্যবসায়ী, কৃষিবিদ ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। শনিবার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৫-২০ মিনিটের সামান্য পাতা ভেজানো বৃষ্টি হয়েছে। তবে আধা ঘণ্টাব্যাপী অধিক পরিমানে বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে রাজবাড়ী জেলায়।
উপজেলার আম চাষী আব্বাস মোল্লা জানান, অধিকাংশ গাছে এখন মুকুল থেকে গুটির আকার ধারন করেছে। এই সামান্য বৃষ্টি এসব গুটির গোড়া আরো মজবুত করবে। যেহেতু খুব বেশি জোরে বৃষ্টি হয়নি, তাই এটি আমাদের জন্য উপকারই হবে। তবে জোরে বৃষ্টি হলে এবছর আম উৎপাদনে শুরুতেই বড় ধাক্কা খাবে আমচাষীরা। তবে নিজের বাগানে প্রায় সবগুলো গাছ ফজলি জাতের হওয়ায় আমের মুকুলে এই বৃষ্টিও ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন এই আম চাষী।
উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক কোব্বাত সেক বলেন, সকাল থেকে মেঘের অবস্থা ও গর্জন দেখে আতঙ্কে ছিলাম। ভাগ্গিস সামান্য পরিমাণে হালকা গা ভেজানো বৃষ্টি হয়েছে। এতে ভালোই হয়েছে। তবে আকাশে মেঘ কেটে না যাওয়া পর্যন্ত কৃষকদের মনে শঙ্কা দূর হবে না। আবার জোরে বৃষ্টি হলে একদিকে যেমন আমের গুটিতে ছত্রাকের আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি অন্যদিকে ল্যাংড়া জাতের আমের মুকুল ঝরে যাওয়ার ভয় থাকছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রকিবুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির কারনে আমের গুটিতে ছত্রাক আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কৃষিবিদের পরামর্শ নিয়ে ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে তা দূর হয়ে যাবে। তবে এবিষয়ে আম চাষীদের খুব বেশি ভয়ের কিছু নেয়।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপুর ৩ টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় আকাশ মেঘলা, সামান্য বাতাস এবং থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
Leave a Reply