ফেসবুক- ইমুতে অভিনব এক প্রতারনার ফাঁদে পড়ে নাকাল হচ্ছে প্রবাসী সহ ঢাকা শহরের উঠতি বয়সী তরুণরা।এবিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।মূলত উঠতি বয়সী কিছু নামধারী মডেলরা জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কে ব্যাবহার করে এইসব প্রতারণার ফাঁদ গুলো তৈরি করছে এবং এর স্বীকারে পরিণত হচ্ছে তরুণরা।অনুসন্ধানে জানা যায় ঢাকা সাভারের বাসিন্দা চৌধুরী নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে এক তরুণী ছদ্মবেশে বিভিন্ন সময়ে কিছু ভিডিও আপলোড করে এবং এইসব ভিডিও থেকে সে যৌন উত্তেজক কথাবার্তা বলে।পাশাপাশি তাকে পাওয়ার জন্য একপ্রকার এর আহবান জানিয়ে থাকে ভিডিও বার্তা গুলো তে।এইসব ভিডিও বার্তায় সে তাঁর বিভিন্ন কাজের রেট নির্ধারণ করে দেয়,যেমন ইমুতে সেক্স করার জন্য তাঁর ডিমান্ড পাঁচ হাজার টাকা।আবার সরাসরি শারীরিক সম্পর্কে যেতে চাইলে তাঁর রেট নির্ধারণ করে দেয় দশ হাজার টাকা।ফাস্টবিডিনিউজ এর অনুসন্ধানে জানা যায় সে তাঁর নিজের ফেসবুক আইডি দিয়ে নির্দিষ্ট কাউকে টার্গেট করার পর ইনবক্সে যোগাযোগ করে,বিভিন্ন ভাবে মন ভুলানো কথাবার্তা বলে।মন ভুলানো কথাবার্তায় নির্দিষ্ট তরুণ কে বশে এনে বিভিন্ন সময় উঠতি বয়সী তরুণদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।এই মোবাইল নাম্বার টি ইমুতে অন্য নামে ইস্যু করা আছে।
তাঁর কথায় বিশ্বাস করে তাঁর দেয়া নাম্বারে টাকা পাঠানোর পর সে ওইসব তরুনদেরকে ফেসবুকে আবার ব্লকও করে দেয়।ব্লক করার আগে সে কিছু কৌশল এর আশ্রয় গ্রহণ করে।কাওকে কাওকে টাকা পাওয়ার সাথে ব্লক করে আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে সুবিধা মতো অর্থ আদায়ের পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।এইভাবে গত কয়েক মাসে কমপক্ষে দুই শতাধিক তরুণ যুবকরা তাঁর স্বীকারে পরিণত হয়েছে বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।অনুসন্ধানে আরও জানা যায় এই মডেল নামধারী নেতৃত্বে রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।যাদের কাজই হলো ফেসবুক কে ব্যাবহার করে নিরীহ তরুণদের স্বীকারে পরিণত করা।কেউ যদি তাঁর এই প্রতারণার প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে সঙ্গে সঙ্গে সে তাঁর প্রতারক চক্রের পুরুষ সদস্যদের মাধ্যমে হুমকি দেয়ায়।তাঁর হয়ে সেসব তরুণরা প্রতিবাদকারীদের বিভিন্ন ভাবে বিপদে ফেলতে নানা অপকর্ম ঘটায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় মডেলিং এর আড়ালে সে মূলত দেহ ব্যাবসা পরিচালনা করে,তাছাড়া ফেসবুকে খোলামেলা ছবি পোষ্ট করে মূলত তরুণদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।এই সুযোগে তরুণদের সাথে ফেসবুকের ইনবক্সে কথাবার্তা বলে ইমু সেক্স করার প্রস্তাব দেয় এবং টাকা ছাড়া সে কোনওভাবেই নাম্বার দিতে রাজি হয়না।জানা যায় তার রয়েছে একাধিক ভুঁয়া ছদ্মবেশী ফেসবুক আইডি।
যেগুলো মূলত তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরাই চালিয়ে থাকে।এই ধরনের প্রতারণার খপ্পরে পড়া একজন সাইপ্রাস প্রাবসী ছদ্মনাম (গোলাম কাদের) জানান,ফেসবুকে কথা বলে মনে হয়েছিলো ভদ্র ঘরের মেয়ে।বিশ্বাস করেছিলাম তাই বলে এতো বড় ধোকাবাজি!!!এখন তাঁর ব্যাক্তিগত মোবাইল নাম্বারটিও বন্ধ রয়েছে।আপনাদের এই রিপোর্ট এর মাধ্যমে তরুণ সমাজের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ এই ধরনের প্রতারক চক্র থেকে নিজেদের সবসময় নিরাপদ রাখুন।আমার যা গেছে তা নিয়ে দুঃখ নেই কিন্তু আপনাদের কাওকেই যাতে আর এই প্রতারণার জালে ধরা পরতে না হয় সেবিষয়ে সতর্ক থাকবেন অনুরোধ রইলোএদিকে ফেসবুকে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে তাঁর ছদ্মনামে আরও একটি ফেসবুক আইডির সন্ধান পাওয়া গেছে।যেখানে তাঁর নাম উল্লেখ করেছে সাথী এনজেল (আব্বুর কিউট মেয়ে) হিসেবে উল্লেখ করেছে।উক্ত আইডি তে এনজেল সাথী নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রী হিসেবে পরিচয় দিলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভর্তি কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ করা হলে এই নামের কোনও শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত নাই বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।সাথী এনজেল ফেইক আইডি তে সে নিজেকে একজন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সাথে সংশ্লিষ্ট হিসেবে দাবী করলেও বিএফডিসি কতৃপক্ষ জানিয়েছে এই নামে তাদের রেজিস্টার খাতায় কোনও শিল্পী নিবন্ধিত নাই।সর্বোপরি বলা যায় বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যাবহার করে মূলত টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল হিসেবে ছদ্মবেশ ধারন করে ফেসবুক ব্যাবহার করে।
Leave a Reply