1. iamparves@gmail.com : admin :
  2. hdtariful@gmail.com : Tariful Romun : Tariful Romun
  3. shohagkhan2806@gmail.com : Najmul Hasan : Najmul Hasan
  4. janathatv19@gmail.com : Shohag Khan : Shohag Khan
  5. ranaria666666@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র কোথায়?

প্লাবন্তী ইতি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সত্যিটা এখনো জানে না বাঙ্গালী জাতি। আসলে ৫ আগস্ট কি হয়েছিলো যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতা কর্মীর কথা দেশ বাসী কথা চিন্তা না করে পদত্যাগ করেন। নাকি তাকে দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিলো ? যদি সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করেন , তাহলে বর্তমান বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার এর প্রধান উপদেষ্টা কেনো পদত্যাগ পত্র জনগনকে দেখাতে পারছে না। কোনটা সত্যি লুকিয়ে আছে ৫ আগস্টের ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সরকারে পদত্যাগের পিছনে। কারণ যে শেখ হাসিনা নারী হয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল নিজের দেশকে পরিচিত করিয়েছেন ।আজ নারী এই ছাত্র আন্দোলনের জন্য পদত্যাগ করবে বিষয়টি সত্যি অস্বাভাবিক।

আমরা বাঙ্গালীরা চিরকাল ই বেশি আবেগী সত্যি মিথ্যা যাচাই বাছাই করতে পছন্দ করি না। বাংলাদেশের সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ ই আগস্ট ২০২৪ সালে পদত্যাগ করা ২৪ ঘন্টা পরে একটা লিখিত বার্তা পাই আমরা সবাই সোস্যাল মিডিয়াতে যাতে বলা ছিলো (মূলকথা ),” আমি পদত্যাগ করছি যাতে আমাকে মৃত্যু মিছিল দেখতে না হয়। তারা ছাত্রদের মরদেহের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। আমি অনুমতি দিইনি। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’’ এই বার্তাটা প্রথম সোস্যাল মিডিয়া ছড়ায় তার পর ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ গনমাধ্যমে নিউজ হয়। কিন্ত কে বা কারা এটা ছড়িয়েছে বাংলাদেশের প্রসাশন এখন ও তদন্ত করে জানায়নি।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা একমাত্র পুত্র সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ৯ আগস্ট ২০২৪ সালে পদত্যাগ পত্র প্রকাশ করা নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে ফেসবুক এবং twitter (X) ভিডিও বার্তা দেন“ তার মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেননি। কারণ পদত্যাগ করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিজের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রাষ্ট্রপতি বরাবর দিতে হবে। সেটা করা হয়নি।সেটার সময় ও বাস্তবতা ছিল না। আর জাতির সামনে ভাষণ দিয়েও প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের কথা জানাতে পারতেন। সেটাও কিন্তু হয়নি। পদত্যাগের আর কোনো গ্রহণযোগ্য পথ আছে কি! যাঁরা বলছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের বলুন প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা পদত্যাগপত্র দেখাক। আমি জানি তাঁরা সেটা দেখাতে পারবেন না।”

এই নিউজ হবার পর বিশ্ব সবাই নড়ে চরে বসলে ও বাংলাদেশের সংবিধান যা বলে ‘বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী দুটি ক্ষেত্র ছাড়া বাকি সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির আলাপ-আলোচনা গোপনীয়তার মধ্যে হয়। কাজেই তারা গোপনীয়তা রক্ষা করে কী আলোচনা করেছেন, তা তারাই জানেন। তাদের মধ্যে একজন যখন বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, তখন সেটাই গ্রহণযোগ্য ও চূড়ান্ত।’ বলেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ আরিফ খান The Daily star বাংলা নিউজে।

সব চেয়ে আশ্চর্য বিষয় হলো জাতিসংঘে সাধারণ অধিবেশন ২০২৪ শুরু হবে ১০ সেপ্টেম্বর। জেনারেল ডিবেট ২৪ এ শুরু হয়ে ২৮ এ শেষ। সমাপনী অনুষ্ঠান ৩০ তারিখ। এদিকে সরকার প্রধান এর নাম হিসেবে এখনও শেখ হাসিনার নাম আছে ৭৯তম অধিবেশনের অতিথি হিসেবে।সুনির্দিষ্ট গ্যাপটি হলো, যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বৈধ কোন পদত্যাগ পত্র জাতিসংঘে জমা পড়েনি তাই নির্ধারিত অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানের নামটি বাদ দেয়া জাতিসংঘের পক্ষে সম্ভব হয়নি!

আবার বাংলাদেশে যেদিন পদত্যাগ পত্র নিয়ে আইনি ভাবে লড়াই করবে বলে জানালেন সজীব ওয়াজেদ জয় তারপরে দিন সুপ্রিম কোর্ট আঙিনায় ঢুকে সমন্বয়ক আন্দোলনকারীরা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করলে প্রধান বিচারপতি ও ৫ বিচারক পদত্যাগ করেন। বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ৫ আগস্ট ২০২৪ জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ পরে , পদত্যাগ পত্র নিয়ে যখন প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় । তখন সাধারণ জনগনকে পদত্যাগ পত্র ব্যাপারে কোন খোলাসা বক্তব্য দেননি । এমনি আর্মির চিপ ওয়াকার-উজ-জামান রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার নোবেল বিজয় ডা. মুহাম্মদ ইউনূসকে উপদেষ্টা প্রধান করে । আর্মি চিপ রাষ্ট্রের জনগনের জান মালের রাষ্ট্রের সকল দায়িত্ব নিয়েছে বলে প্রতিশ্রুতি দেন । তিনি ও এই পদত্যাগ পত্র নিয়ে কোন প্রকার বক্তব্য দেয়নি ।
জাতিসংঘে প্রোগ্রামের জন্য আমাদের বাঙ্গালী মনে আবার প্রশ্ন উঠলো । তাহলে কি সত্যি বাংলাদেশের সাবেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন প্রকারের পদত্যাগ পত্র জমা দেয়নি ? বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ সরকারকে দেশ ত্যাগ করা পিছনে ছাত্রদের দিয়ে যে নীল নকশার তৈরি হয়েছে তা মাঝে আসলে এক ভয়ংকার সত্যি লুকিয়ে আছে । না হলে জাতির সামনে কেনো এখনো প্রকাশ হচ্ছে না পদত্যাগ পত্র । বিদেশী অপশক্তি কাছে কি তবে আমরা জিম্মি হয়ে যাচ্ছি । বাংলাদেশ তবে কি ২য় বার দেশ স্বাধীনের নামে পরাধীনতা বেছে নিয়েছে , আমরা এই যুগের তরুন প্রজন্ম দেশটাকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে দিয়েছি । এখন যদি দেশ কে নিয়ে না ভাবি তবে হয়তো আমার সোনার বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১২
  • ১২:১৯
  • ৪:২৯
  • ৬:১১
  • ৭:২৪
  • ৬:২৩