পরিশ্রম করে ক্লান্ত হওয়া এক কথা। কিন্তু অনেকে আবার কোনো কারণ ছাড়াই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। বিনা কারণে আপনার ক্লান্ত থাকার আড়ালে লুকিয়ে আছে শারীরিক কোনো না কোনো অসুস্থতা। আসুন কোনো কারণ ছাড়া ক্লান্ত থাকা কোন কোন শারীরিক সমস্যার পূর্বলক্ষণ..
১. রক্তশূন্যতা হলে আপনি ক্রমাগত ক্লান্ত থাকতে পারেন। অনেকেরই মাঝে মাঝে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় কিংবা ব্যায়াম করতে গিয়ে জোর পান না। এটা হয় রক্তশূন্যতার কারণে। রক্তশূন্যতা হলে আপনার রক্তে যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন থাকে না। এর ফলে আপনার শরীর ঠান্ডা থাকে এবং ঘুম ঘুম ভাব থাকে।
২. আপনার ক্লান্ত থাকার পেছনের আরেকটা কারণ হচ্ছে থাইরয়েড সমস্যা। আপনার যদি ত্বক শুষ্ক লাগে, শরীরে দুর্বলতা থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে এবং একইসাথে ক্লান্ত থাকেন তাহলে আপনার থাইরয়েডের সমস্যা থাকতে পারে।
৩. ডায়াবেটিস শরীরে দানাবাঁধার পূর্বেও আপনার ক্লান্ত লাগতে পারে। ডায়াবেটিস হলে আপনার রক্তের সুগার লেভেল কমে যায়। সুগার লেভেল কমে যাওয়ার ফলে আপনার শরীর নেতিয়ে পড়ে এবং আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
৪. প্রচণ্ড হতাশ থাকলেও মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েন। হতাশ হলে অনেকেই বিছানা ছেড়ে উঠতে চান না, ঘুমাতেও চান না। সব মিলিয়ে এক অন্যরকম ক্লান্তির মধ্যে থাকেন।
৫. ক্লান্ত থাকার আরেকটি গোপন কারণ হচ্ছে পেট খারাপ থাকা। রাস্তাঘাটের খোলামেলা পরিবেশে কোনো কিছু খেলে পেটে বদহজম অথবা ডায়রিয়া হয়। এসব কারণে মানুষের মাথা ব্যথা করে, বুক জ্বালাপোড়া করে, গলা থেকে ঢেকুর বের হয়- এতে শারীরিকভাবে দুর্বলতা দেখা দেয়। ক্লান্ত থাকার এটাও আরেকটা কারণ।
৬. শরীরে কোনো ধরনের ইনফেকশন থাকলেও আপনি ক্লান্ত হতে পারেন। এপস্টেইনবার ভাইরাস অথবা লাইম ডিজিজে আক্রান্ত হলে আপনি অস্বাভাবিকরকম ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন।
৭. শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও আপনার ক্লান্তির পেছনের আরেকটি কারণ হচ্ছে নাক ডাকা। আপনি যদি ক্লান্ত থাকেন তাহলে এটার মানে এটাও দাঁড়ায় যে, আপনি অনেকদিন ধরে নাক ডেকে যাচ্ছেন।
৮. হার্টের অসুখ থাকলেও আপনার মধ্যে ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে। হার্টে সমস্যা দেখা দিলে আপনার শরীরের ব্লাড টিস্যুগুলো থেকে রক্ত শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে যোগান দিতে থাকে। এতে আপনার পেশিগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
যদি নিয়মিত ক্লান্ত থাকেন তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। কারণ ক্লান্তির আড়ালে হয়তো আপনার শরীরে বাসা বেঁধে আছে কোনো ভয়াবহ রোগ।
Leave a Reply