নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পানিয়াগ্রা এলাকার বাসিন্দা বিনা পারিশ্রমিকে শত কবর খুড়ে স্থানীয়ভাবে আলোচিত আব্দুল করিম (৮০) ইন্তেকাল করেছেন। তিনি ২০ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান( ইন্না-লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন) ।
গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা রিপন মিয়া জানান, প্রায় ৪৫ বছর ধরে আশপাশের গ্রামের যে কেউ মারা গেলে বিনা পারিশ্রমিকে কবর খোড়ার কাজ করেছেন। শুধুমাত্র সওয়াবের আশায় যে কারো কবর খুড়েছেন তিনি। স্থানীয় মসজিদের মাইকে কোন মারা যাওয়ার খবর পেলেই সব কাজ ফেলে দৌড়ে যেতেন তিনি। এভাবে একে একে ১০৯টি কবর খুড়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লেখাপড়া না জানা আবদুল করিম ও তার বাবা কৃষক ছিলেন। সমাজের অত্যন্ত ভদ্র ও সহজ সরল লোক ছিলেন। সাম্প্রতিক করোনা মহামারীতে মারা যাওয়া মরদেহ দাফন ও তার কবর খুড়ে আলোচিত ছিলেন তিনি।
গোয়ালপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ জানান, কবর খুড়া সওয়াবের কাজ। এ কাজে যুক্ত থাকা ব্যক্তিরা ইহকালে সামাজিক মর্যাদা পায় আর পরকালে নাজাতের ওসিলা হবে৷ তাছাড়া কবর খনন করা সওয়াবের কাজ। যে এ কাজ করে সে সওয়াবের উদ্দেশ্যেই করে। তবে এ ক্ষেত্রে কেউ যদি তাকে হাদিয়া দিয়ে সম্মান করে, তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজ আছে। আর যেখানে এ কাজের জন্য একাধিক ব্যক্তি রয়েছে, সেখানে কেউ যদি নির্ধারিত পারিশ্রমিক নিয়ে এ কাজ করতে চায়, তবে সেটিও নাজায়েজ নয়। তবে এমন না করাই ভালো। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হয়তো সেটা জেনেই কোন পারিশ্রমিক গ্রহণ করেনি।
Leave a Reply