1. iamparves@gmail.com : admin :
  2. hdtariful@gmail.com : Tariful Romun : Tariful Romun
  3. shohagkhan2806@gmail.com : Najmul Hasan : Najmul Hasan
  4. janathatv19@gmail.com : Shohag Khan : Shohag Khan
  5. ranaria666666@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন

বিভীষিকার সাক্ষী মিরপুরের জল্লাদখানা

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ধরে এনে নির্যাতনের পর শিরশ্ছেদ করে পাম্প হাউজের কূপে ফেলে দেয়া হতো। স্থানীয় বিহারীদের সহযোগিতায় এখানে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ৭১’এর বিভীষিকাময় হত্যাযজ্ঞের সেই স্মৃতি বহন করছে মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমি।

মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর পেরিয়ে বেনারসি পল্লী ধরে কিছুটা এগিয়ে যেতেই এ বধ্যভূমি। এর প্রবেশপথের ছোট্ট ফটকের গায়ে লেখা ‘কী বলতে চায় মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমি, শুনতে কি পাও?’

 

ভেতরে প্রবেশ করতেই প্রথমে নজরে আসে প্রায় চৌকোনা মাটির স্মারক। সবুজ বিস্তীর্ণ এ ঘাসের নিচে শায়িত রয়েছেন এক মা ও তার দুই সন্তান এমন ভাবনা থেকেই এটি তৈরি। ‘শূন্য হৃদয়’ নামে এ স্মারকটির স্থপতি কবি রবিউল হুসাইন। প্রতিবছর ১৪ ডিসেস্বর থেকে টানা তিনদিন এই স্থানটিকে ঘিরে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জল্লাদখানা বধ্যভূমি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। বধ্যভূমির সামনে সামিয়ানা (প্যান্ডেল) করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে তিনদিনের কর্মসূচি।

বধ্যভূমির ভিতরে ঘুরে দেখা গেল নানা তথ্য। রয়েছে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ৪৭৭টি বধ্যভূমির তালিকা। বিভাগওয়ারি করা এ তালিকার মাঝে কাচের ভেতরে মাটির পাত্রে রাখা আছে দেশের অন্যতম ছয়টি বধ্যভূমির মাটি। এসব বধ্যভূমি হলো কিশোরগঞ্জের বড়ইতলা, রাজশাহীর বাবলাবন, জয়পুরহাটের পাগলা দেওয়ান, চট্টগ্রামের ফয়’স লেক, খুলনার চুকনগর এবং সিলেটের আদিত্যপুর।

প্রতিটি বিভাগের মাটির পৃথক রঙ মনে করিয়ে দেয় ষড়ঋতুর এ দেশের বৈচিত্র্যময়তা। এর মাঝ বরাবর দেয়ালে রয়েছে একটি ফলকচিত্র। শিল্পী রফিকুন নবী ও মনিরুজ্জামানের যৌথ এ চিত্রের শিরোনাম ‘জীবন অবিনশ্বর’। যাতে তুলে ধরা হয়েছে, একাত্তরে মিরপুরের এই জায়গাটির গণহত্যার প্রতীকী দৃশ্য। এরপর নজরে আসে ছোট্ট একটি ঘর। এটিই সংগ্রহশালা। যার প্রবেশমুখে ঝুলছে একটি ঘণ্টা। এর নাম ‘সেন্টিমেন্ট বেল’। দর্শনার্থীকে এ ঘণ্টা বাজিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। এ শব্দ শহীদদের কাছে নিজের আগমনের বার্তা জানান দেয়।

জুতা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেয়ালে দেখা মেলে মিরপুরে শহীদদের নামের একটি তালিকা। ইতোমধ্যেই সেখানে সন্নিবেশিত হয়েছে ৭০টি নাম। আরও নতুন নতুন নাম যুক্ত। এরপর দেখা মেলে সেই কুয়ার। হত্যার পর যেখানে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল শহীদদের। এর সামনে একটি কাচের সেলফের ভেতরে রয়েছে এখানকার বধ্যভূমির মাটি। আর তিনটি বক্সে রাখা হয়েছে শহীদ হওয়া মানুষগুলোর ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্র। এ ছাড়াও এখানে তৈরি করা হয়েছে ‘স্মৃতি টাওয়ার’। মুক্তিযুদ্ধের চার দশক পূর্তির এ স্মারকটি একজন তরুণের হাতে জাতীয় পতাকা দেখানো হয়েছে। এটির নির্মাতাও স্থপতি রবিউল হুসাইন।

 

জল্লাদখানার বধ্যভূমির তত্ত্বাবধায়ক কে এম নাসিরউদ্দীন জানান, মিরপুরবাসীর তথ্য অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ১৯৯৯ সালে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ওয়াসার পরিত্যক্ত পাম্প হাউজে খননকাজ চালায়। এখান থেকে পাওয়া যায় ৭০টি মাথার খুলি, পাঁচ হাজার ৩৯২টি অস্থিখণ্ড ও শহীদদের ব্যবহার্য নানা সামগ্রী। ২০০৭ সালের ২১ জুন মিরপুরের শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাত ধরে এই স্থাপনাটির দ্বার উন্মোচন করা হয়।

তিনি জানান, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ জল্লাদখানা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। এখানে প্রবেশের জন্য কোনো টিকিট লাগে না। একটি বাক্স আছে, যার যা ইচ্ছা, সে সেখানে দিয়ে যায়। প্রতিদিনই গড়ে ১৫০-২০০ দর্শনার্থী আসেন। উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত এ সংগ্রহশালা পরিদর্শন করেছেন প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ। এ ছাড়াও প্রতি শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এখানে নতুন প্রজন্মের কাছে মিরপুরের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান শহীদ পরিবারের সন্তানরা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:৪০
  • ১২:২৩
  • ৪:০৫
  • ৫:৪৪
  • ৭:০৩
  • ৬:৫৭