সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সুমনা সরকারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু ও অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার চৌধুরী। পিএসসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম খালেদ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত ২৩তম বিসিএস (বিশেষ) স্বাস্থ্য ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে অংশগ্রহণ করে সুমনা প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন। সেই সময় মুক্তিযোদ্ধার সনদ সংক্রান্ত জটিলতার কারণ দেখিয়ে সুমনাসহ অনেক পরীক্ষার্থীর মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষার কার্ড ইস্যু না হওয়ায় তারা ভাইভা পরীক্ষা দিতে পারেননি।
এরপর ২০০১ সালে মৌখিক পরীক্ষা দিতে গেলে সুমনার ভাইভা পরীক্ষা নেয়া হয়নি। এরপর ২০০৩ সালে তাদের মধ্যে থেকে ১২ জন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। পরে তারা মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পান।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে সুমনা হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৫ সালে সুমনার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করে পিএসসি। ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের রায়টি স্থগিত করেন।
দীর্ঘদিন মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের ওই রায়ের মাধ্যমে সুমনার রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি হল।
Leave a Reply