লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস্ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের যোগসাজসে আমদানীকৃত পণ্যে চালান জালিয়াতি করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ কৌশলে চালান জালিয়াতির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কাজ করছে ও অতি গোপনে চালানের টাকা জমা নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। কাস্টমস্ সহকারী কমিশনার সোমেন কান্তি চাকমা চালান জালিয়াতির ঘটনা অস্বীকার না করে বলেন, এ ব্যাপারে নোটিশ দিয়ে সকল ব্যবসায়ীর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর ৪ মাস ও ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ মাসসহ মোট ৭ মাসের ফাইল/ বিল অব এন্ট্রি এবং ব্যাংক স্কল ও চালান গুলো যাচাই করছি। এতদিন পর কেন যাচাই করছেন- জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
জানা গেছে, সম্প্রতি আমদানিকারক কয়েকজন ব্যবসায়ীর আমদানীকৃত পণ্যের ব্যাংক চালান জালিয়াতির তথ্য ফাঁস হলে শুরু হয় গুঞ্জন। চাঞ্চল্যকর এ বিষয়টি বন্দরের বিভিন্ন দপ্তর, ব্যবসায়ীদের মাঝে আলোচীত হলেও কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের কাছে একেবারেই গোপন রাখছেন। ফলে নানা সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। চলতি মাসের ১২ অক্টোবর বন্দর কর্তৃপক্ষের হলরুমে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল ও সকল ব্যবসায়ীদের নিয়ে সহকারী কমিশনার সোমেন কান্তি চাকমা একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকে কাস্টমসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজসে চালান জালিয়াতি ও রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এতে কয়েকজন ব্যবসায়ী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেন। নিয়মানুযায়ী আমদানীকৃত পণ্যের ঘোষণা, এলসি নম্বর, ডলার মুল্য, এইচএস কোড, ব্যাংক চালানের মাধ্যমে ট্যাক্স, ভ্যাট জমার কাগজপত্র দেখে মালামাল এ্যাসেসমেন্ট, এক্সামিন ও গ্রীণ করে পণ্য ছাড়ের নিয়ম। অভিযোগ উঠেছে কাস্টমসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীর যোগসাজসে ভুয়া কাগজ-পত্র তৈরি করে কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার সোমেন কান্তি চাকমা বলেন, কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষের নিকট একটি গ্রæপ অবৈধ সুবিধা না পেয়ে এসব গুজব ছড়াচ্ছেন। সকল ব্যবসায়ীকে চিঠি দিয়ে ফাইল নেওয়া হয়েছে। সেগুলো যাচাই- বাছাই করা হচ্ছে।
Leave a Reply