অনেশ চন্দ্র রায়ের বয়স ৬৬ বছর। দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ১নম্বর নাফানগর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডে ছোট সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ৬৬ বছর বয়সেও তার ভাগ্যে এখনো জোটেনি বয়স্ক ভাতা।
অনেশ চন্দ্র এক সময় ছকরবন (ঘর নির্মাণ) কাজ করতেন। শরীর না চলায় দুই বছর যাবত কাজ করতে পারেন না। একসময় মানুষের জমি চুক্তি (লিজ) নিয়ে চাষাবাদ করেছিলেন। সেই চুক্তি জমিও আর নেই। সবমিলিয়ে দীর্ঘ দুই বছর কর্মহীন। এতে সংসারে দেখা দিয়েছে অভাব-অনাটন। তবে সরকারি কোনো সহায়তা পান না তিনি।
অনেশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘একসময় পনে দুই বিঘা জমি চুক্তা নিয়ে আবাদ করছিনো বাপু। যার জমি মালিক বিক্রয় করে দিছে। এখন চলার মত আমার কিছু নাই। দয়া করে যদি কেউ ১০- ৫০ টাকা বা ১০০ টাকা দেয় তাই দিয়ে চলি। সরকার যদি আমাক দয়া সরুপ বয়স্ক ভাতা দেয়। তাহলে আমার অনেক উপকার হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘চেয়ারম্যান কাছতো বছর পার ঘুরিনু। কোনো কিছু হয় নাই। বেঁচে থাকিতে কি বয়স্ক ভাতা পাবো, নাকি কবরে গিয়ে হবে?’
স্খানীয় মেম্বার নবাব বলেন, অনেশ চন্দ্র রায় আমার কাছে আসছিল। কিন্তু আমরা বরাদ্দ পাই কম। আমাদের ভাগ্যে দুই থেকে চারটা কার্ড হয়। বয়সের এবং দরিদ্রতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এরপর আসলে করে দিবো।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহনেয়াজ পারভেজ শাহান বলেন, আবেদন দেওয়া আছে। লিস্টে নামও আছে। এরপর যদি ইউনিয়নে কার্ড আসে তাহলে করে দিবো।
Leave a Reply