তারা আটজন ‘বেতনভুক্ত’ ছিনতাইকারী। থাকে নগরের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু চলে একসাথে দলবদ্ধ হয়ে। চলতে চলতে নিজেদের শিকারে পরিণত করে নিরীহ লোকজনকে। টার্গেট নির্ধারণের পরই তাকে ঘিরে চলে তাদের ‘অপরাশেন’। ভিড়ের মধ্যেই টার্গেট করা ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় কৌশলে। সাধারণ পথচারীদের বুঝতে দেওয়া হয় না গ্রুপ ভিত্তিক ছিনতাইকারী চক্রের অভিনব এই কৌশল। দিনে কৌশলে ছিনতাই করলেও রাতে আবার নেমে যেতো সরাসরি অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ে। এজন্য দৈনিক কাজের ভিত্তিতে বেতনও পেতেন তারা।
নগরীর ডবলমুরিং থানার শেখ মুজিব রোড থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু (৩৬), তুষার হোসেন (২৫), মো. তপু (২২), হায়াত মাহমুদ জীবন (২৩), আনোয়ার হোসেন বাবু (২১), নাজমুল ইসলাম (২৮), আব্দুর রহমান রানা (২০) ও জনি শাহ (৩২)। তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন, একটি এলজি ও তিনটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘গ্রেপ্তার যুবকরা এক সঙ্গে চলাফেরা করে। তারা তাদের টার্গেট করা লোককে সুবিধামত স্থানে ধরে মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ কাজে জড়িত এবং নগরীর বিভিন্ন থানায় তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা আছে।’
ওসি মহসিন আরো বলেন, এ দলের দলনেতা তুষার। তিনি তাদের মহাজন। বিভিন্ন জনকে ছিনতাইয়ের পরে বেতন পরিশোধ করে। প্রত্যেক সদস্য দিনে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা মহাজনের কাছ থেকে বেতন নেয়। ছিনতাই করতে পারলেও এ মজুরি তারা পায়, ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হলেও পায়। গ্রেপ্তারের পর মোবাইল ফোনগুলোও তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তুষার জানিয়েছে, তিনি ছিনতাই করা মোবাইল ফোন রেয়াজউদ্দিন বাজারে আব্বাস উদ্দিন জুয়েল নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।
Leave a Reply