ক্ষমতার দাপটে বেশামাল একটা শ্রেণীর মানুষ,যারা প্রতিনিয়ত সুইঁয়ের ছেদায় বটগাছ ঢোকানোর চেষ্টা করে ।হাইব্রীড নেতারা ক্ষমতার দাপটে বেশামাল হয়ে সমাজের সাধারণ মানুষদের হয়রানি সহ নিকৃষ্টতম কাজ করতে দ্বীধা বোধ করেনা ।
হাইব্রীড নেতারা সরকারের ভাবমুর্তী নষ্টের লক্ষে মুচি থেকে শুরু করে সমাজের সহজ সরল বিত্তবানরা রেহাই পাচ্ছেনা ক্ষমতাসীন হাইব্রীড নেতাদের হয়রানি থেকে।
এর একটা বিশেষ কারণও আছে;সহজ ভাষায় ‘চেইন অব কমান্ড’-যেমন সরকার দলের প্রধান থেকে তৃণমূলের হাইব্রীড নেতা পর্যন্ত।উদাহরণ : কদ্দুছ ইউনিয়নের সরকার দলের ওয়ার্ডের হাইব্রীড সভাপতি,সে মর্জিনার মায়ের বিধবা ভাতার টাকা আন্ত:স্বাৎ করে ধরা খেয়েছে ওয়ার্ডের সচেতন ব্যক্তির কাছে।জানাজানি হলে ওয়ার্ডের হাইব্রীড সভাপতির সমস্যা,কি আর করা চলে এল সরকার দলের ইউনিয়নের হাইব্রীড সভাপতির কাছে, ওয়ার্ডের হাইব্রীড সভাপতি,ইউনিয়নের হাইব্রীড সভাপতির কাছে বলল,‘বস আকাম তো করছি,মর্জিনার মায়ের বিধবা ভাতার টাকা আন্ত:স্বাৎ করে ধরা খাইছি,একটা ব্যবস্থা নেন, নইলে কামসারা!
ইউনিয়নের হাইব্রীড সভাপতি বলবে ‘নো সমস্যা আমি আছি তো,ভয় নেই, নাকে ঘানি ভাঙ্গা সরিষা তেল মেখে ঘুমাও! অর্থাৎ মামলা ডিসমিস!এ ভাবে ইউনিয়নের হাইব্রীড সভাপতি থেকে শুরু করে, চৌকিদার-মেম্বার-চেয়ারম্যান-উপজেলা চেয়ারম্যান-পৌর মেয়র-এম পি-উপমন্ত্রী-মন্ত্রী-‘রা’ বলবে ‘নো সমস্যা আমি আছি তো,ভয় নেই!
আমরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য উঁচু গলায় হর্র্ষধ্বনি করে থাকি; আসলে তা ঠিক নয়। সাম্প্রতিক সময়ে যে নির্বাচন হয়ে গেল তা গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ও পুনরুদ্ধার নয় ,বরং গণতন্ত্রকে কবর দেয়ার শামিল।
কারণ ভোট না থাকলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। ইতিহাস বলে, ফ্রান্সের চতুর্থ রিপাবলিক চলেছিল ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল, মোট বার বছর। এই ১২ বছরে মন্ত্রিসভার পতন ঘটেছিল ২০ বার।
তাই বলা চলে ফ্রান্সে ভোট ছিল তাই গণতন্ত্র ছিল। অবশ্য ভোট থাকলেই যে যথাযথ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা উদ্ভূত হয় তা কিন্তু ঠিক নয়।
এর জন্য চাই নিরপেক্ষ ও মুক্ত নির্বাচন পদ্ধতি।তাই বলা চলে বেশামাল হয়ে আমরা তৈলাক্ত পথে হাটঁছি; যেখানে গণতন্ত্র তথা গণতন্ত্রের জনগণের দাবীর কোন গ্রহন যোগ্যতা নাই,ক্ষমতাসীন হাইব্রীড নেতাদের তেল মারার নীতিই বর্তমান রাজনীতি!যা গ্রহন যোগ্যতা পাচ্ছে সরকার দলের প্রধানের কাছে ।
Leave a Reply