ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন নিয়ে প্রশাসনের সাথে লুকোচুরি খেলছে গ্রামের মানুষ। প্রশাসনের দেওয়া নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা রাখছে দোকান পাট। চলছে ক্যারাম বোর্ড, মোবাইলে তাস,লুডু ও পাবজি খেলা। অব্যাহত রয়েছে গণজমায়েত।প্রাণঘাতি করোনায় ভাইরাস এর সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন সফল করতে, জনসাধারণকে ঘরে রাখতে ও বাধ্যতা মূলক মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিজিবি ও পুলিশের স্বমন্নয়ে গঠিত উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, পুলিশ টহল জোরদার ও বিজিবির কঠোর নজরদারীতে ভূরুঙ্গামারী সদরের আশ পাশে লকডাউন চললেও মানছেনা গ্রামের মানুষ।
গত দুই দিনে (রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত) উপজেলার জয়মনিরহাট, আন্ধারিঝাড়, মানিক কাজি, থানাঘাট, পাথরডুবি, বাশঁজানি,মইদাম, পাগলার হাট, ধামের হাট, ধলডাঙ্গা, নলেয়া,কুড়ার পার পাটেশ্বরী ব্রীজ পার, সোনাহাট, শাহীবাজার, বহলগুড়ি ও চর ভূরুঙ্গামারী এলাকায় সরজমিনে ঘুরে কোন দোকান অর্ধেক খোলা, কোনটি পুরো খোলা আর চায়ের দোকান গুলোতে মানুষের ভীর দেখা গেছে। দোকানে বসে টিভি দেখছে ও সিরিয়াল দিয়ে চা খেতেও দেখা গেছে।স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, উঠতি বয়সের যুবকরা বিনা কারণে দল বেঁধে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন এবং চায়ের দোকানে বেহুদা আড্ডা দিচ্ছেন। সেই সাথে তারা মোবাইলে বিভিন্ন গেম খেলছে, করছে হইহুল্লোর।প্রশাসনের গাড়ির শব্দ শোনা মাত্রই দ্রুত দোকান পাট বন্ধ করে সটকে পড়ছেন আবার কেউ কেউ দোকানের ভিতরেই অবস্থান করছেন। গ্রামের রাস্তায় অটো ও অটোরিক্সা গুলোতে স্বাভাবিক ভাবেই লোকজন চলাচল করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, এ সব অভিযোগ আমাদের কাছেও আসছে। জনগণকে সচেতন করতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণদের নিয়ে জরুরী মিটিং করা হয়েছে। চেয়ারম্যানগণ ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতিটি ইউপি সদস্যের স্বমন্নয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন। তিনি আরো জানান গত ছয় দিনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বিধি না মানায় ১২১ টি মামলা দিয়ে ৪৫ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালীন এসব কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply