স্বামী প্রবাসে, স্ত্রী জড়ালো পরকীয়া প্রেমে আর সেই পরকীয়া প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়েই দেখা মিললো প্রবাসী স্বামীর সাথে৷ ঘটনাটি ঘটেছে ঠিক এমন ভাবেই৷
তাদের দুইজনের বাড়ি কুমিল্লাতে৷ পরকীয়া প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়ে ভৈরবের কুলিয়ারচর ব্রিজে প্রবাসী স্বামীর হাতে ধরা পড়ে স্ত্রী৷মূলত স্বামী প্রবাসী গিয়ে নিজের স্ত্রীকে টোপ দিয়েছিল পরিক্ষা করার জন্য আর সেই টোপ গিলে ফেলে স্ত্রী৷ জড়িয়ে পড়ে পরকীয়ে প্রেমে৷
সাধারণত অনেক প্রবাসীস’রা বিয়ে করে স্ত্রী’কে রেখে বিদেশে চলে যায় কিছু অর্থ উপার্জন করতে! তবে অনেক সময় দেখা যায় এই প্রবাসীদের রেখে যাওয়া স্ত্রী’রা পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে৷ আজকে যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে যাচ্ছি এর মধ্যেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে৷ স্বামী প্রবাসী গিয়ে নিজের স্ত্রী’কে পরিক্ষা করার জন্য ভূয়া(রাজা) নামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে এবং সেই আইডি দিয়েই
তার নিজের স্ত্রীর সাথে নিজেকে একজন ভিন্ন পুরুষ হিসাবে পরিচয় দিয়ে কথা বলা শুরু করে৷ এরপরই বেরিয়ে আসতে থাকে স্ত্রীর আসল রূপ৷ নিজের স্বামী যে কিনা নিজের পরিচয় গোপন করে ভূয়া পরিচয় দিয়ে তাকে পরিক্ষা করতে চেয়েছিল সেই স্বামীর সাথেই জড়িয়ে পড়ে পরকীয়া প্রেমে৷
পরবর্তীতে নিজের প্রবাসী স্বামীকে বাদ দিয়ে নতুন প্রেমিককে বিয়ে করার শর্ত হয় তাদের মধ্যে৷ এক সময় তারা সিদ্ধান্ত নেয় তারা দুজন দেখা করবে৷ প্রবাসী স্বামী বুদ্ধি করে দেখা করার জন্য এমন একটা সময় ঠিক করেন ,যে সময়ে তিনি বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে তার স্ত্রীর সামনে হাজির হতে পারবেন৷
পরিকল্পনা মতই কাজ হয়েছে৷ পরকীয়া প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসে নিজের স্বামীকে দেখে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে স্ত্রীর৷সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়েছে৷ ভিডিও টি ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে অনেকে অনেক ধরণের লেখা লেখি শুরু করেছে৷
নুসরাত নামের এক তরুণী লিখেছেন,”পাঁচ ভাগের চার ভাগ প্রবাসী স্ত্রীরা এরকম খারাপ। যার কারণে সমাজে প্রবাসী স্ত্রীদের কে সবসময় খারাপ ভাবা হয়।এসব মেয়েদের জন্য পাঁচ ভাগের বাকি এক ভাগ প্রবাসী স্ত্রীদের কে এদের মতোই মনে করা হয়।”
এক প্রবাসী ভাই লিখেন,”এটা দেখার পর বিয়ে করার ইচ্ছে আরো ২০ বছর বাড়ায়ে দিলাম।আপাতাতো ডিজিটাল যুগে বিয়ে করছি না দেখি আর কনো যুগ আসে কিনা।সেই যুগে মেয়েদের উন্নতি হলে তখন ভেবে দেখবো।বিয়ে করা উচিৎ কিনা।
Leave a Reply