ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৪ শ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা পরিশোধ করতে গিয়ে ওই বিদ্যালয়ের দিনমজুরের মেয়ের মা নিজের পরনের শাড়ি বিক্রি করে টাকা যোগাড় করে দিয়েছেন মেয়েকে।
স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগী মেয়ের মা জানান, ওই বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে দিনমজুর মো. শহীদের মেয়ে রিতু আক্তার (রোল-২৬)। গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে যায় অ্যাসাইনমেন্ট আনতে। এ সময় তার সহপাঠীরা শ্রেণিশিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে যাচ্ছে দেখে নিজেও এগিয়ে যায়। রিতু জানায়, তাকে অ্যাসাইনমেন্ট দিতে বললে শিক্ষক আনোয়ার হোসেন তিন পাতার প্রশ্ন, দুটি কলম ও এক পাতার সাজেশন দিয়ে মোট ৩৪০ টাকা দাবি করে। এ সময় বাবার দেওয়া এক শ টাকার একটি নোট দিলে তাকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বলেন, ৩৪০ টাকাই আনতে হবে, অন্যথায় অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না বলে। অপমানিত মেয়ে কান্নাকাটি করে বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি মা বিলকিস আক্তারকে অবহিত করে।
ছাত্রীর মা বিলকিস আক্তার জানান, মেয়ে বাড়িতে এসে অনেক কান্নাকাটি করে। পরে তা সহ্য করতে পারেননি। ওই সময় টাকা হাতে না থাকায় তিনি তাঁর তিনটি পুরনো শাড়ি ৩০০ টাকায় বিক্রি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিদ্যালয়ের পাশেই আঠারবাড়ি বাজারে একটি স্টেশনারি দোকান আছে। তিনি ওই দোকান থেকে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজ-কলম কিনতে বাধ্য করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, স্কুল অভ্যন্তরীণ ঘটনা বাইরের কেউ হস্তক্ষেপ না করলেই চলে। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে যে কেউ অ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করে নিতে পারে। অ্যাসাইনমেন্ট প্রদানের বিনিময়ে টাকা আদায় করা যাবে না।
Leave a Reply