২৭ বছর ধরে আদায় করা হচ্ছে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর টোল। দীর্ঘদিনেও টোল আদায় বন্ধ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এই অঞ্চলের মানুষ। টোল আদায় বন্ধ না হওয়াতে আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জেলা নাগরিক আন্দোলন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নেতারা।
১৯৯১ সালে উদ্বোধনের পর থেকেই আদায় করা হচ্ছে ময়মনসিংহের পাটগুদাম এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর টোল। দীর্ঘ ২৭ বছরেও টোল আদায় বন্ধ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এই অঞ্চলের পরিবহন চালক ও মালিকরা। বর্তমানে প্রতিটি যানবাহন থেকে আকার ভেদে ১০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা করে টোল আদায় করা হচ্ছে।
পরিবহন মালিক ও চালকদের অভিযোগ, কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই প্রতিবছর টোল আদায়ের হার বৃদ্ধি করায় বিপাকে পড়েছেন তারা।সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ময়মনসিংহ জেলার নেতারা পাটগুদাম সেতুর টোল আদায় বন্ধ না করা হলে আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বহুবার।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক স্বাধীন চেীধুরী বলেন, পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক যারা আছে তাদের ওপর একটা গজবের মতো চলে আসছে দীর্ঘ পঁচিশ-ছাব্বিশ বছর। তাই আমরা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো, অবিলম্বে এই টোল আদায় বন্ধ করা হোক।’
জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান বলেন, এই সেতুর টোল আদায় সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের ব্যাপার। এটা বন্ধের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে নেই।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। আর গত তিন বছরে এই সেতুর টোল ইজারা বাবদ রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ২৮ কোটি টাকা।
এব্যাপারে নিরাপদ সড়ক চাই ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি আব্দুল কাদের চৌধুরী বলেন, টোল আদায়ের কারণে ওই স্থানে প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আর এখানে টোল আদায়ের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তবুও কেন আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের ওপর জুলুম করা হচ্ছে তা আমরা জানিনা। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে টোল বন্ধ করার জন্য। অবশেষে আজ ৭।০৮।২৪ইং রোজ বুধবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বন্ধ হলো টোল আদায়।
Leave a Reply