ফাস্টবিডিনিউজ ডেস্ক : ময়মনসিংহে শিশু গৃহকর্মী নিশি আক্তারকে নির্যাতনের ঘটনায় গৃহকর্তা মিজানুর রহমান বাবুল ও তার স্ত্রী শারমিন রহমান মুন্নির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুল হাই শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজাবাড়িয়া গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী মজিবুর রহমানের মেয়ে নিশি আক্তার। সাড়ে তিন হাজার টাকা বেতনে অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মিজানুর রহমান বাবুলের বাসায় কাজ করত সে। তেজগাঁওয়ের ইন্দিরা রোডের বাসায় চার বছর ধরে নিশির ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় মিজান ও তার স্ত্রী মুন্নি। নিশির শরীরে একাধিকবার ইস্ত্রি ও কাঁটা চামচ গরম করে ছ্যাঁকা এবং পেছনে হাতবেঁধে শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়া হয়। শনিবার সন্ধ্যায় নিশিকে পরিবারের কাছে দিয়ে পালানোর সময় জনতা আটকে পুলিশে দেয় এ দম্পতিকে। এ ঘটনায় রোববার মামলা শেষে তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সুব্রত সাহা বলেন, শিশু গৃহকর্মী নিশিকে নির্যাতনের মামলায় ওই দম্পতিকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য বের করা হবে।
এদিকে সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামানের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটির বাবা মজিবুরকে। এ সময় পুলিশ সুপারের কাছে তিনি মেয়ের ওপর নির্যাতনের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। পুলিশ সুপার নিশির চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৫ হাজার টাকা সহায়তা দেন। এছাড়া নিশিকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলার জন্য যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহনের দায়িত্ব নেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় নিশিকে। সেখানে চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা শুরু করেন।
Leave a Reply