রাজধানীর চকবাজার এলাকার কামাল বাগে অবৈধভাবে ও নোংরা পরিবেশে চকলেটসহ বিভিন্ন শিশু খাদ্য তৈরির অভিযোগে ৪টি চকলেট কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২ টি কারখানার মালিকসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সুবেল লজেন্স ফ্যাক্টরির মালিক সোহেল ব্যাপারী, প্রধান কারিগর জাহের দফাদার, আবির ফুড প্রডাক্টের প্রধান কারিগর আব্দুস সালাম, কবির ফুড প্রডাকস এর প্রধান কারিগর ইয়াসিন ও শহিদ ফুড প্রডাকসের মালিক মোহাম্মদ তারেক।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে শুরু হওয়া অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। অভিযানে বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, পুরান ঢাকার কামাল বাগ এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চারটি চকলেট কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এসব কারখানার কোনও ধরনের অনুমোদন ছিলো না। এখানে একটি চক্র কাজ করছে। তারা বিপদজনক শিশু খাদ্য উৎপাদন, বাজারজাত করণ ও বিক্রয় করতো। এই চক্রের একটি শক্তিশালী বাজার রয়েছে। তারা এই অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
ভেজাল মিশিয়ে শিশুখাদ্য তৈরি
তিনি বলেন, শিশুদের প্রিয় এই খাদ্যটি(চকলেট) কোনও ভাবেই বিএসটিআই এর অনুমোদ ছাড়া উৎপাদন করা যাবে না। কিন্তু তারা সরকারি কোনও লাইসেন্স নেয়নি। এই চকলেটগুলো উৎপাদনের জন্য যে ধরণের কাঁচামাল পেয়েছি সেটি সত্যি দুঃখজনক। একই সঙ্গে চিন্তার বিষয় আমাদের শিশুরা কি খাচ্ছে।
তিনি আরে জানান, অভিযানে চকলেটের কাঁচামাল হিসেবে মোম পাওয়া গেছে যা কোনও অবস্থাতেই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। প্যারাফিন কেমিক্যাল পাওয়া গেছে যা কসমেটিকস বা তেল উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাসট্রিয়াল রং, ফ্লেবার, হাইড্রোজ কেমিক্যাল, গ্লিসারিন, সাইট্রিক এসিডও এসময় পাওয়া গেছে । যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এধরনের খাবারে কিডনি, লিবার ড্যামেজসহ ক্যান্সার হতে পারে। এছাড়া চর্ম রোগ, বদ হজম, দূর্বলতাসহ শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
Leave a Reply