লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ নেতা সাখওয়াত হোসেন সুমন খান (৪৮) ও তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনের নামে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সাখওয়াত হোসেন সুমন খান পৌর শহরের কালীবাড়ি মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত বাচ্চু খানের ছেলে। তিনি লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সাখওয়াত হোসেন সুমন খানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে জমি দখল, হুন্ডি ব্যবসা, চোরাচালান, টেন্ডারবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ ছিল। হুন্ডি ব্যবসার কারণে তিনি হুন্ডি সুমন নামে জেলায় পরিচিত। অপর দুই আসামি হলেন সুমন খানের স্ত্রী মোছা. নাহিদা আক্তার রুমা (৪৩) ও তারই কর্মচারী লালমনিরহাট পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা তৌকির আহমেদ মাসুম (৩৮)।
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানা যায়, সাখওয়াত হোসেন সুমন খানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, স্বর্ণ চোরাচালান, মাদক কারবার, টাকা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে সিআইডি পুলিশ। অনুসন্ধানে সাখওয়াত হোসেন সুমন খানের ব্যাংক একাউন্টে ২৩৭ কোটি ৪৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬০ টাকার সন্ধান পাওয়া যায়। তাঁর স্ত্রী মোছা. নাহিদা আক্তার রুমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩১০ টাকার সন্ধান মেলে। এ ছাড়া সুমন খানের আরেক কর্মচারী লালমনিরহাট পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা হারুনের ছেলে তৌকির আহমেদ মাসুমের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৮৬ কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ১২৭ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। শুধু টাকা নয় কয়েকটা আলিসান বাড়ী, গাড়ি ও হোটেল আছে তার।
এসব টাকার বৈধ আয়ের উৎস না থাকলেও তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থের জমা, স্থানান্তর ও রূপান্তর করা হয়। এসব অপরাধে ২০১৫ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪ (২) ধারায় তাঁদের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন লালমনিরহাট সিআইডি পুলিশ।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সিআইডি’র এ এসপি আবদুল হাই সরকার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি সিআইডি তদন্ত করবে। আসামিদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলমান আছে।
Leave a Reply