ধান সবজির বিকল্প হিসেবে আখ চাষে ঝুকেছেন যশোরের শার্শার চাষীরা। উপজেলায় আখ চাষ বেড়েছে। ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
সরেজমিনে, উপজেলার সীমান্তবর্তী পুটখালী, বারপোতা ও খলসি এলাকায় ধান চাষের জমিতে এ বছর ব্যাপকভাবে আখের আবাদ করা হয়েছে। চাষিরা রাতদিন ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানকার জমিতে গ্যান্ডারি, তুরপিন ও উচ্চ ফলনশীল জাতের আখের চাষ করা হয়েছে। অনেকে আখ বাজারে তুলতে শুরু করেছেন। এ বছর বাজার দর ভালো থাকায় খুশি চাষিরা। অনাবৃষ্টির কারণে কিছু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি সারিয়ে তোলার চেষ্টায় ব্যস্ত অনেকে। আখ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় এটি চাষের মাধ্যমে অতীতের লোকসান কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে চাষিদের।
শার্শার উপজেলার পুটখালী,বারপোতা ও খলসি গ্রামের আখচাষি আলী আজগর জানান, ধান-সবজি চাষ করে প্রতি বছর লোকসান গুনতে হয়। বিকল্প হিসেবে আখ চাষ অনেক লাভজনক। ফলন ভালো হলে অন্য যে কোন ফসলের চেয়ে আখ চাষ করে আর্থিক উন্নয়ন সম্ভব।
কৃষক মহসিন মিয়া ও আব্দুল মান্নান জানান, জমিতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আখ ক্ষেত কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ায় সে দুঃশ্চিন্তা অনেকটা দূর হয়েছে। বাম্পার ফলনের ব্যাপারে আশাবাদী।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, আখ একটি লাভজনক ফসল। ফলন ভালো হলে প্রতি হেক্টর জমি থেকে ৬/৭ লাখ টাকার আখ বিক্রি করা সম্ভব। অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখানকার মাটিতে আখ ভাল হয়।
Leave a Reply