ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের হতদরিদ্র আবুল বাসারের পুত্র ইয়াসিন মিয়া (৪ বছর ৫ মাস)।কঞ্চির আঘাতে নষ্ট হয়ে যায় বাম চোখের কর্ণিয়া। দেড় লাখ টাকা হলেই চোখের দৃষ্টি ফিরে পাবে ।
গত পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন খুশির বদলে তার পরিবারে নেমে আসে বিষাদ! ঈদের দিন বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে ইয়াসিন মিয়ার বাম চোখে কঞ্চির আঘাত লাগে। এ আঘাতে তার বাচোখের কর্ণিয়া নষ্ট হয়ে যায়।
ইয়াসিন মিয়ার চিকিৎসা করাতে আসেন গৌরীপুর ডা. মুকতাদির চক্ষু হাসপাতালে, তারপরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে দীর্ঘদিন চলে চিকিৎসা। কিন্তু তার চোখের অবস্থার অবনতি ঘটলে রেফার্ড করা হয় ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট এ্যান্ড হসপিটালে।
সেখান থেকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চলে দীর্ঘদিন চিকিৎসা। এ পরিস্থিতিতে অসহায় বাবা ছেলেকে নিয়ে ছুটে চলছেন এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে। অর্ধাহারে-অনাহারে চলা পরিবারটি ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিকট থেকে সহযোগিতাও নিয়েছেন বারবার। এখন নিরুপায় অসহায় এই বাবা! সন্তানের চোখে, চোখ রাখতে পারছেন না। প্রয়োজন সহযোগিতা!
বর্তমানে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডা. নুসরাত শারমীনের তত্ত্বধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, কর্ণিয়া সংযোজন ব্যতিত ইয়াসিনের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। আর এই কর্ণিয়া যোগাড় ও প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজন দেড় লাখ টাকা। হতদরিদ্র পরিবারটির সামনে তিলে তিলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সন্তানের চোখের আলো যাতে কেবলই অসহায়ত্বতা। ছেলের এমন অনিশ্চিত জীবন আর ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত পরিবারটি।
ছোট্ট ইয়াসিনের সমবয়সী বন্ধু ইমতিয়াজ, সোহেলও চায় সে দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার তাদের সাথে খেলুক। অসহায় পরিবারটি চায় তাদের সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে, শুধু প্রয়োজন মানবিক সহযোগিতা। এ সহযোগিতা পেলেই বাংলাদেশ আই হাসপাতালে চিকিৎসা হবে এই ছোট্ট শিশুটির, ফিরে পাবে চোখের দৃষ্টি, ফিরে পাবে স্বাভাবিকতা।
সহযোগিতা পাঠাতে
নগদ বা বিকাশ (ইয়াসিনের বাবা) ০১৭৬৬-৭৩৫৮০৮,
প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৯৪৭-৮১৫২১৭ এই নাম্বারে।
Leave a Reply