অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা ১৫ বছর ধরে বাংলা চ্যানেলে সাঁতারের আয়োজন করে আসছে। গেল সোমবার অনুষ্ঠিত এ সাঁতারে অংশগ্রহণ করে মোট ৪৩ জন। তিনজন বাদে অর্থাৎ ৪০ জন চ্যানেলটি পাড়ি দেন। ৪০ জনের মধ্যে ডিএমপির মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের রামপুরা জোনের পুলিশ সার্জেন্ট সোহেল রাশেদ। তিনি চ্যানেলটি পাড়ি দেন পাঁচ ঘণ্টা ৫৯ মিনিটে।
সোহেল রাশেদ বলেন, আমি প্রায় চার বছর ধরে নিয়মিত সাঁতার কাটি। বাংলাদেশ পুলিশের কেউ এর আগে কখনো এ সাঁতারে অংশগ্রহণ করেনি। এবারই প্রথম আমরা দুজন অংশ নিয়ে দুজনই পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছি।
অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার বলেন, ১৫ বছর ধরে আমি এ সাঁতারের আয়োজক। সাঁতারের নিয়মটা হচ্ছে, আপনাকে টানা সাঁতরাতে হবে। কোথাও থামা যাবে না। সাঁতারের সময় অংশগ্রহণকারীদের আশপাশে আয়োজকদের নৌকা থাকে। কেউ যদি থামে বা নৌকা স্পর্শ করেন তাহলে তিনি ডিসকোয়ালিফাইড। সুতরাং আপনাকে কষ্ট করেই এ চ্যানেল পাড়ি দিতে হবে।
পুলিশ সার্জেন্ট সোহেল রাশেদের এ সাফল্যতে তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে বইছে আনন্দঘন মুহুর্ত। বিভিন্ন স্তরের মানুষ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন পুলিশ সার্জেন্ট সোহেল রাশেদকে।
স্থানীয় সংবাদকর্মী ও পুলিশ সার্জেন্ট সোহেল রাশেদের নিকট আত্মীয় আবু রাইহান শিতিল জানান, রামপুরা ট্রাফিক জোনে কর্মরত সার্জেন্ট সোহেল রাশেদ ভাই টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ১৬.১ কি মি সমুদ্র পথ সাঁতরিয়ে ৫ ঘন্টা ৫৯ মিনিট সময় নিয়ে সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছে, এটা শুধু তার ব্যক্তিগত অর্জন নয় বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হিসাবে প্রথম। তার এ সাফল্যতে আমরা এলাকবাসী গর্বিত।
Leave a Reply