1. iamparves@gmail.com : admin :
  2. hdtariful@gmail.com : Tariful Romun : Tariful Romun
  3. shohagkhan2806@gmail.com : Najmul Hasan : Najmul Hasan
  4. janathatv19@gmail.com : Shohag Khan : Shohag Khan
  5. ranaria666666@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন

ভোররাতে প্রচণ্ড শীতে শিশুর মতো কাঁদছিলেন বাবা;ফেলে রেখেছিল নিজ পুত্র ও পুত্রবধূ

অনলাইন ডেক্স
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০
ফাস্টবিডিনিউজ পড়তে ক্লিক করুন WWW.FIRSTBDNEWS.COM ছবি:সংগৃহীত

ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলায় বৃদ্ধ বাবাকে ভোররাতে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের পাশে রেখে পালিয়ে যায় নিজ পুত্র ও পুত্রবধূ। আজ সোমবার পৌরসভার আনোয়ার খিলা ওয়ার্ডের সাহাবুদ্দিন (৮০) নামের এক বৃদ্ধকে বাসাসংলগ্ন মহাসড়কে ফেলে রাখা হয়। 

জানা যায়, সোমবার ভোররাতে ফজরের নামাজের পর মসজিদের মুসল্লিগণ মহাসড়কের পাশে ছোট শিশুর মতো হাউমাউ করে কাঁদতে দেখেন এক বৃদ্ধকে। সাহাবুদ্দিন নামের ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি জানানো হয় ফুলপুর থানার পুলিশকে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃদ্ধ অসুস্থ বাবাকে ভরণপোষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুত্রবধূ ও নিজ সন্তান এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে সকালে ফুলপুর থানার ওসি ও স্থানীয় সাংবাদিক ওই বৃদ্ধের খোঁজখবর নিতে বাড়িতে যান। এ সময় ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় পুত্র রফিকুল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধর বাড়ি ছিল শেরপুর শহরে। একসময় টাকা-পয়সা, বাসা-বাড়ি, ফসলের জমি সবই ছিল। এলাকার কিছু প্রভাবশালীর খপ্পরে পড়ে সে নিঃস্ব হয়ে যায়। গত ৩০ বছর আগে ফুলপুরে চলে আসেন। স্থানীয় একজনের দেওয়া জমিতে একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন তিনি। দিনমজুরের কাজ করে কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিন চলত এ বৃদ্ধ। সংসার জীবনে তার দুই ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও মিরাশ উদ্দিন (৩৫)। বর্তমানে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে বিছানায় পড়ে আছেন তিনি। দুই ছেলেই বিবাহিত। বড় ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথেই থাকেন তিনি। ছোট ছেলে ফুলপুরে একটি রাইস মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। বাবার কোনো খোঁজখবর রাখেন না ছোট ছেলে মিরাশ।

রফিকুল ইসলামের চার সন্তান। অভাবের সংসারে বৃদ্ধ বাবার ওষুধ ও খাবার দিতে হিমশিম খেতে হয়। এ ছাড়াও বৃদ্ধ বাবার ব্যথায় চিল্লাচিল্লিতে সারারাত ঘুমানো যায় না। বৃদ্ধ বাবার প্রতি রাগান্বিত হয়ে এ কাজ করছেন বলে স্বীকার করছেন পুত্রবধূ। তবে পুত্রবধূ নাছিমা খাতুন এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জানান, অভাবের জন্য ভুলবুঝাবুঝি হয়েছে। ভবিষ্যতে শ্বশুরের দেখাশোনা করতে অসুবিধা হবে না। তার দাবি নিজের জমি নেই, করোনার জন্য ঢাকা শহরে কোনো কাজ নেই। এলাকায় সামান্য কাজকাম করে একমাত্র স্বামীর উপার্জনে চলে ছয়জনের ভরণপোষণ। তা ছাড়াও প্রায় ছয় মাস ধরে শশুরের বয়স্কভাতা পায়নি।

নাছিমার এমন কষ্টের কথা শুনে অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। ফুলপুর থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী পুত্রবধূ   নাছিমাকে বলেন, শ্বশুরের প্রতি আর যেন এমন না হয়। নাছিমা খাতুন তখন দুঃখ প্রকাশ করলে ওসি থাকে নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন। ফুলপুর থানা সূত্রে জানা যায়, পুলিশের পক্ষ থেকে এ বৃদ্ধকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩৪
  • ১২:৩৮
  • ৫:১৩
  • ৭:১৯
  • ৮:৪১
  • ৫:৫৪