ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হাসিনা বেগম (১০৫) নামে এক বৃদ্ধাকে বস্তায় ভরে রাস্তায় ফেলে যায় ছেলেরা।
হাসিনা বেগম গফরগাঁও পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের চর জন্মেজয় এলাকা মৃত আব্দুল খালেকের স্ত্রী। স্বামী আব্দুল খালেক ৩০ বছর আগে মারা গেছেন।
হাসিনা বেগম নিজের ছেলে সাহিদ ও জোসনা এবং দুই সৎ ছেলে দুলাল, জালাল ও তাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে তাদের সংসার। তবে জোসনা মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেস্বর) রাতে নিজ বাড়ি জন্মেজয় এলাকা থেকে দেড় কিলোমিটার দুরে গফরগাঁও-ভালুকা সড়কের ষোলহাসিয়া এলাকায় তিতাস গ্যাস অফিস সংলগ্ন একটি দোকানের সামনে হাসিনা বেগমকে ফেলে রেখে যায়।
পরদিন বুধবার (৯ ডিসেম্বর) স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গফরগাঁও থানার ওসি অনূকুল সরকার বলেন, বৃদ্ধা হাসিনা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তার ছেলেরা লালন পালন করবে শর্তে অঙ্গীকার নামা দিয়ে নিয়ে গেছে। বৃদ্ধার যাতে কোন অযত্ন না হয় সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিত খোঁজখবর রাখবেন।
পুলিশ জানায়, পৌর শহরের জন্মেজয় এলাকায় নিজের ও সৎ ছেলেদের হাসিনা বেগমের বসবাস। মঙ্গলবার রাতে কোন কারণে হয়তো ওই বৃদ্ধাকে ছালার বস্তার ভিতরে ভরে তার ছেলেরা কনকনে ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশার মধ্যে গভীর রাতে বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দুরে গফরগাঁও-ভালুকা সড়কের ষোলহাসিয়া এলাকায় তিতাস গ্যাস অফিস সংলগ্ন একটি দোকানের সামনে হাসিনা বেগমকে ফেলে রেখে আসে।
পরদিন বুধবার ভোরে একটি ছালার ভিতরে সারা শরীর ও বাইরে মুখ বের করা অবস্থায় হাসিনা বেগমকে দেখতে পান পথচারীরা। দেখতে পেয়ে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৩০ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্ট করে সংসারের হাল ধরে রেখেছিলেন হাসিনা বেগম। এখন বার্ধক্যজনিত কারনে চলাফেরাও করতে পারেন না তিনি। ভুগছেন বিভিন্ন রোগে। এই জন্যই হয়তো ছেলেরা পরিবারের বোঝা মনে করে বস্তায় ভরে রাস্তায় ফেলে গেছে।
Leave a Reply